Habra Shopping Mall: পুজোর আগেই যা চকচকে শপিং মলের ধাঁচে ঐতিহ্যর বস্ত্র হাট ফিরে পাচ্ছে হাবড়া। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসাত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাবড়ার এই সুপার মার্কেটের বস্ত্র হাট জেলার মধ্যে এক অন্যতম ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। বিগত কয়েক দশক ধরে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এতদিন সুপারমার্কেট এলাকায় বেকারি পট্টি এলাকায় অস্থায়ীভাবে ঝুপড়ির দোকান করেই চলত বস্ত্র হাটের কেনাবেচা। কয়েকশো ব্যবসায়ী প্রতি সপ্তাহের বুধবার ও শনিবার এই হাট থেকেই বস্ত্র ব্যবসা চালাতেন। এবার পুরসভার উদ্যোগে বদলাতে চলেছে এই প্রথা। এবার ঝুপড়ি দোকানের বদলে ঝাঁ চকচকে শপিং মল থেকে চলবে বেচাকেনা।
মেয়েদের শাড়ি চুড়িদার থেকে শুরু করে চাদর, বালিশের কভার, ছেলেদের পাঞ্জাবি, লুঙ্গি এমনকি বাচ্চাদের জামা কাপড়ও এই বস্ত্র হাট থেকেই কিনে নিয়ে যান খুচরো পাইকারি ব্যবসায়ীরা। জেলার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলি থেকেও মানুষজন এই কাপড়, জামা, পোশাক কিনতে হাটে আসেন । তবে হাবড়া পুরসভার তরফ থেকে অস্থায়ী এই সুপার মার্কেট ভেঙে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাস টার্মিনাস এলাকায়। পুরসভার উদ্যোগে মাত্র ১৫ মাসেই জয়গাছির সুপারমার্কেট এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ঝাঁ চকচকে ছ'তলা বিল্ডিং।
শহরের আধুনিক শপিংমলের ধাঁচেই এই বিল্ডিংয়ে থাকছে লিফটের সুবিধা। আলো ঝলমলে সুন্দর সাজানো শপিং মলে পণ্য কেনা-বেচা করতে আসা মানুষদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অগ্নি নির্বাপন সহ নানা আধুনিক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই নতুন হাবড়ার বস্ত্র হাটের শপিংমলে, প্রায় আটশোর বেশি ব্যবসায়ী দোকান ঘর পাবেন বলে পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্থায়ী সুপারমার্কেট এলাকার বস্ত্র হাট নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মূলত তাঁর উদ্যোগেই পুরসভার পুর প্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় আধুনিক এই বস্ত্রহাটের নতুন ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি। জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ। পুজোর আগেই সম্ভবত অগাস্ট মাসেই চালু হতে পারে নতুন বস্ত্র হাটের এই ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। পুজোর আগে নতুন বিল্ডিংয়ে স্থানান্তরিত হতে পারলে বাড়বে বিকিকিনিও বলে আশায় বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।