• ‘‌লুকিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আমাদের নয়’‌, কন্যাশ্রীর দশম বর্ষ উদযাপনে তোপ মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৩
  • আজ, সোমবার কন্যাশ্রীর দশম বর্ষ উদযাপন হল ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে তিনি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেন। তাছাড়া উপস্থিত ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পটি বোঝান। এই প্রকল্প যে এখন মাইলফলক স্পর্শ করেছে তা বলতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখান থেকে নাম না করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এটা আগের কোনও সমালোচনার জবাব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

    এদিন তিনি স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা নির্দেশ দেন। বাংলার মনীষী থেকে সংস্কৃতি জানতে তিনি অনুরোধ করেন। গোটা দেশকে জানতে হলে রাজ্য সরকারের নানা তৈরি বিষয়গুলিকে জানতে হবে বলেছেন তিনি। এদিন কন্যাশ্রী দিবস অনুষ্ঠানে বাংলার কন্যাদের বিশ্বসেরা বলে অভিনন্দন দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বলেন, ‘‌আমি অনুরোধ করছি, স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়কে যে, আপনারা ছাত্রছাত্রীদের আলিপুর মিউজিয়ামে নিয়ে যান। ওখানে আমরা সুন্দর মিউজিয়াম গড়ে তুলেছি। যাতে গোটা দেশ এবং দেশের মনীষীদের জানতে পারে তারা। এই দেশ যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের তো জানতে হবে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্য আগে কিছু হয়নি। তাই এখানের সেতু এবং অডিটোরিয়াম তাঁর ও তাঁর গানের নামে করেছি।’‌

    এদিকে এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সুর সপ্তমে তোলেন। বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরাসরি না মন্তব্য করলেও বাংলা যে শীর্ষে থাকবে সে কথা বলতে ভোলেননি। কারও হুমকিতে বাংলা যে দমবে না সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‌আজ মেয়েদের জীবন অনেক সুরক্ষিত। বাংলার সংস্কৃতি, মেধা এগিয়ে চলুক। কেউ যেন চমকাতে না পারে। ধমকাতে না পারে। আমরা চমক দেখাবো। বাংলার মেয়েরা বিশ্বসেরা। এরাই একদিন বাংলাকে উচ্চতম স্থানে নিয়ে যাবেন। বাংলাকে যেন কেউ থামাতে না পারে। বাংলা থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তাই বাংলাকে ধমকানি, চমকানি নয়।’‌

    আরও পড়ুন:‌ অনশনে বসলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, এখানেও কি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা?‌

    অন্যদিকে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের জন্য যাঁরা কাজ করেছিলেন, প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের মনে রাখার কথাও বলেন তিনি। তবে এই মঞ্চ থেকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমি যখন সিঙ্গুর আন্দোলন করেছিলাম তখন ২৬ দিন অনশনে বসেছিলাম। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, উঠে যেতে। না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমারও মনে হয়েছিল যে আর বাঁচব না। কিন্তু কৃষকদের কথা ভেবে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলাম। লুকিয়ে লুকিয়ে খাবার ব্যবস্থা আমাদের ছিল না। ওই অভ্যাস আমাদের নয়। যেভাবে এখন হয়। ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট উপলক্ষ্যে দুটি অনুষ্ঠান আছে। আমি সেখানে যাব।’‌ ছাত্রীদের দুটি কবিতা পাঠ করে শোনান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)