• নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে রাজ্যজুড়ে
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে আগামী সপ্তাহে—মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানান, দক্ষিণবঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের চেয়েও বেশি। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গে। 

    মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আজ শুক্রবার ওই এলাকায় ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি  বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।  এটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হবে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসবে। জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। রয়েছে শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

    আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, উপকূল অতিক্রম করে নিম্নচাপটি খুব বেশি দূর  যাবে না। এগনোর অনুকূল পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূল লাগোয়া এলাকার উপর নিম্নচাপটি কয়েকদিন থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করবে উত্তরবঙ্গে। সোম ও মঙ্গলবার কিছুটা কমলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় উপকূলবর্তী এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় কম-বেশি বৃষ্টির আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    সেপ্টেম্বর মাসে ২৭ তারিখ পর্যন্ত, দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এটি উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে প্রচুর বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগের ভারী বৃষ্টিতে সেই ঘাটতি দূর হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশিই বৃষ্টি হয়েছে ওই তিন জেলায়। সেখানে সেপ্টেম্বরের নিরিখে বৃষ্টির মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে মোটামুটি ৫০ শতাংশ বেশি। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে (স্বাভবিকের থেকে ৪০ শতাংশ বেশি) পূর্ব মেদিনীপুরে। 
  • Link to this news (বর্তমান)