• স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাঝেই পড়ল হামাসের রকেট! ইজরায়েলে আহত ভারতীয় মহিলা
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৩
  • স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন ৪১ বছরের ভারতীয় মহিলা। আতঙ্কের কথা জানাচ্ছিলেন স্বামীকে। যুদ্ধের মাঝে ভয়ে শিঁটিয়ে ছিলেন তিনি। তার মধ্যেই আচমকা হামাসের রকেট হানা। গুরুতর চোট পেলেন অ্যাশকেলন শহরের কর্মরত কেরালার ওই বাসিন্দা। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এই প্রথম ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে আহত হলেন কোনও ভারতীয়।হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল যুদ্ধ ঘোষণার পর চলছে জোর সংঘর্ষ। সেখানে বসবাসকারী দেশীয় নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আগেই সতর্কতা জারি করেছিল ভারতীয় দূতবাস। বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদে আছে বলে জানা গিয়েছে।তেল আবিবের ভারতীয় দূতাবাসের উদ্ধৃতি তুলে ধরে একটি আন্তর্জাতির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইজরায়েলে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয়র বসবাস। সকলেই নিরাপদে আছে। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ভারতীয় পর্যটক যুদ্ধের কারণে আটকে পড়েছেন, তারাও দূতবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বলেও সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, ইজরায়েলে বসবাসকারী বেশ কিছু ভারতীয় পরিচর্যাকারী হিসেবে কাজ করেন। সেই সঙ্গে রয়েছে এক হাজারের বেশি ছাত্র, আইটি পেশাদার এবং হীরে ব্যবসায়ীও। খুব শীঘ্রই তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও দূতাবাসের তরফে দেওয়া হয়েছে আশ্বাস।এদিকে, ভারতীয় হাইকমিশনারের অফিস থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় ভারতীয়দের বাইরে বের না হওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে পরামর্শ। সেই সঙ্গে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য দেওয়া হয়েছে বার্তা। হামাস জঙ্গিদের হামলার পর কার্যত ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভারতীয় ছাত্রী বিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও সর্বদা যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই গবেষক ছাত্রী।আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের হামলায় ভয়াবহতার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন আরেক ভারতীয় এলি প্রসাদ। তিনি ইজরায়েলের আশকেলনে বসবাস করেন। তিনি দাবি করেছেন যে গাজা ভূখণ্ডে থেকে ছোঁড়া সবচেয়ে বেশ রেকট আছড়ে পড়েছিল আশকেলনেই। হামলার আতঙ্কে তারা ঘরবন্দি বলে জানান।গাজায় বসবাসকারী এক ভারতীয় জানিয়েছেন, হামলার পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবা। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বলে জানান তিনি। তবে, হামলার সময় তিনি আর তার পরিবার নিরাপদে ছিলেন বলে জানান ওই ভারতীয়।প্রসঙ্গত, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ছ’টা নাগাদ ইজরায়েলে ভয়াবহ হামলা শুরু করে প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী। গাজা স্ট্রিপ থেকে ৫০০০ রকেট ছোড়া হয় দক্ষিণ ইজরায়েল লক্ষ্য করে। এরপরেই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিন দিনের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ৪৪ জন সেনাকর্মী সহ ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭০০ জনের বেশি মানুষের।
  • Link to this news (এই সময়)