• মাছে-ভাতে বাঙালির জন্য দারুন খবর! গোয়া বিচে এবার পাত পেড়ে খান রুই-কাতলা-ইলিশ
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৩
  • এবার পুজোয় গোয়া বেড়ানোর প্ল্যান? কিন্তু, সমুদ্রপাড়ের খাবারে রুচি নেই? আর টেনশন নেই। এবার গোয়াতেও মিলবে মাছ ভাত। সি বিচেই পাত পেড়ে খাওয়া যাবে ভাত-ডাল-মাঝের ঝোল। এমনই নির্দেশ এসেছে সরকারের তরফে।গোয়ায় সি বিচের ধারে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে শ্যাক। যেখানে পানীয়র পাশাপাশি পাওয়া যায় নানাবিধ সি ফুড। কিন্তু, পর্যটকদের অনেকেরই তা মুখে রোচে না। খাবার নিয়ে পর্যটকদের সমস্যা সমাধান করতে এবার বিশেষ নির্দেশ গোয়ার পর্যটন মন্ত্রী রোহন খাতুন্ডে। গোয়ার প্রতিটি শ্যাকে এবার থেকে ভাত-ডাল-তরকারি-মাছ রাখা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিলেন তিনি।গোয়াতে এবার তৈরি হল নতুন শ্যাক পলিসি। যেখানে সি ফুড, কন্টিনেন্টাল, চিনা খাবারের পাশাপাশিই প্রত্যেক দোকানীকে রাখতে হবে মাছ ভাত। এ ছাড়াও পাওয়া যাবে নারকেলের তৈরি নানাবিধ স্পাইসি খাবারও। মূলত গোয়ার খাদ্যকে প্রচারে আনার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে।উত্তর ভারতের নানা খাবারের পদও শ্যাক পাওয়া যায়। তবে এতদিন পর্যন্ত গোয়ার নিজস্ব আইটেম বিক্রি হত না।গোয়ার প্রতিটি বিচে, প্রতিটি শ্যাকে এবার থেকে মেনু বোর্ড লাগানো থাকবে। সেখানে উল্লেখ করতে হবে কী কী স্থানীয় খাদ্য মিলছে। উল্লেখ করতে হবে মাছ ভাতের পদও। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বলেন, 'দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক গোয়ায় বেড়াতে আসেন। তাঁদের কাছে আমাদের স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী এবং সুস্বাদু খাবারের পদগুলি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'পাশাপাশি সদ্য গোয়া ক্যাবিনেটে পাশ হওয়া শ্যাক পলিসিতে বেআইনিভাবে দোকান চালানো এবং সি বিচের এলাকা দখল করে নেওয়া সম্পর্কেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'নতুন পলিসি অনুযায়ী, প্রতিটি শ্যাককে তাদের দোকানে কর্মরতদের একটি তালিকা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা করতে হবে। সমুদ্রপাড়ে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকলে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকার শ্যাক মালিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। কিন্তু, তাঁদেরও মাথায় রাখতে হবে কোনওভাবেই যেন রাজ্যের পর্যটন ব্যবসা সমস্যার মুখে না পড়ে।' পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন, 'পরিকাঠামোয় উন্নতির জন্য জোর দিচ্ছি আমরা। গোয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে গোয়ার হোটেলগুলি ৮০ শতাংশ বুকড। কিন্তু, কোনও বেগড়বাই হলে হোটেল মালিকরা সরকারকেই দোষারোপ করবে। তাই কোনও ঢিলেমি চলবে না। পর্যটনের প্রচার বাড়াতে দফতরের পক্ষ যথাযথ পদেক্ষপ নেওয়া হচ্ছে।'আরও খবরের আপডেট পেটে ক্লিক করুন: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)