সাক্ষাতে উঠল ধর্না, রাজ্যপালকে ৩১শে পর্যন্ত ‘সময়’ অভিষেকের
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবশেষে সাক্ষাতের সময় দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরই শেষপর্যন্ত টানা পাঁচদিনের ধর্না কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রাজ্যপালের মুখ থেকে ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার বকেয়া মেটানোর আশ্বাসও আদায় করেন তিনি। তাতে অবশ্য ভুলছে না রাজ্যের শাসকদল। তাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজভবনকে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের স্পষ্ট ঘোষণা, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলার মানুষের বকেয়া টাকা নিয়ে সদুত্তর চাই। তা না হলে ১ নভেম্বর থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হবে।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ অভিষেকের নেতৃত্বে রাজভবনে সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলের ৩০ জন প্রতিনিধি। দলে ছিলেন ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিক না পাওয়া মানুষরাও। তৃণমূলের তরফে স্মারকলিপি দিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলার ২১ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না কেন? এ ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রের কাছে কৈফিয়তই বা তলব করছেন না কেন? তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল বিস্তারিতভাবে সেই বক্তব্য শুনেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসও দিয়েছেন। ঘটনাচক্রে অভিষেকরা রাজভবন ছাড়ার পরই সন্ধ্যার বিমানে দিল্লি রওনা হন সি ভি আনন্দ বোস।
রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর ধর্নামঞ্চে অভিষেকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনায় বসেন তিনি। এরপরই অভিষেক ঘোষণা করেন, ‘নেত্রী ধর্না তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন। বলেছেন, রাজ্যপাল সৌজন্য দেখিয়েছেন। আমাদেরও তা দেখাতে হবে। তাই সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ধর্না কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে কেন্দ্র বা রাজভবনের তরফে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ না করা হলে পয়লা নভেম্বর থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’ রাজভবনের তরফে পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ভারত সরকারের নজরে আনা হবে। বাংলার মানুষের কল্যাণের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করবেন রাজ্যপাল। যদিও তার আগেই মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘোষণা করে দেন, কেন্দ্র যদি বরাদ্দ না দেয় আগামী দিনে বিকল্প ব্যবস্থা করবে তৃণমূল সরকার।