• Partha Chatterjee News : সহায়ক চাই! পার্থর 'আবদার' শুনে মুখ ফেরাল প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০২২ সালের ২২ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন চেয়ে একাধিকবার নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জেলবন্দি বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। কিন্তু পার্থর ডাকে সাড়া দেয়নি আদালত। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নতুন 'আবদার' সহায়ক। পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিল না প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। পার্থর অনুরোধ ফেরানো হয়েছে বলে জেল সূত্রে খবর।প্রায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে জেলে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর চলা-ফেরা ও ওঠা-বসায় সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তিনি। পূর্ণ সময়ের সহায়ক দেওয়ার অনুরোধ করে জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দেন। চিঠি পেয়ে জেল কর্তৃপক্ষ SSKM হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখানকার চিকিৎসকদের দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে পরীক্ষা করানো হয়। চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে বেশ কিছু ওষুধ দিলেও, তাঁর সহায়কের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন। শুধুমাত্র ব্যায়াম করার সময় সাহায্যকরারী দেওয়া যেতে পারে বলে জেল কর্তৃপক্ষকে জানান চিকিৎকরা।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতারির পর সেপ্টেম্বর মাসে জামিন চেয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ। জামিনের আবেদনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, 'দেড় বছর ধরে পার্থবাবু জেলে বন্দি। তাঁর কাছ থেকে তদন্তকারীদের আর কোনও কিছু জানার নেই। তাঁর বয়স হয়েছে, একাধিক রোগের উপসর্গ রয়েছে। বিনা বিচারে তিনি জেলে বন্দি।' পালটা সিবিআইয়ের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ গুরুতর। সওয়াল-জবাবের পর তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিশেষ সিবিআই আদালতের তৎকালীন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর অবধি তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা পার্থ ও অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে আদালতে দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। অর্পিতার তরফে একাধিকবার জামিনের আবেদন করা হলেও তা খারিজ করে দেয় আদালত।ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি রাজ্যের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। ইতিমধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি। এখনও অবধি এই মামলার তদন্ত চলছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই। আগামী দিন এই তদন্ত কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।
  • Link to this news (এই সময়)