ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আমানুল্লা দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। অভিযোগ, সেই পদকে কাজে লাগিয়েই ৩২টি পদে বেআইনি নিয়োগ করেছেন তিনি। এছাড়াও ওয়াকফ বোর্ডের তহবিল তছরুপ, পদের অপব্যবহারের মতো নানা অভিযোগও রয়েছে আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়েই আমানুল্লার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই অভিযোগেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমানুল্লা।
এক বছর পরে ফের তদন্তকারী সংস্থার নজরে আপ বিধায়ক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই আমানুল্লার দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর্থিক তছরুপের এফআইআরের ভিত্তিতেই শুরু হয় তল্লাশি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিধায়কের বাড়ি সংলগ্ন গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, আপ বিধায়ক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আপ সাংসদ। তাঁর বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হন আপ সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির বেশ কিছু মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই বিশেষ নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেখানেই আর্থিক তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আপ সাংসদ। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে না পেরেই তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে কেন্দ্র।