• Hooghly: সরকারি অনুদানে পরোক্ষভাবে চাঙ্গা মৃৎশিল্প
    আজকাল | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • মিল্টন সেন, হুগলি: সরকারি অনুদান বাড়ায় উপকৃত মৃৎশিল্পীরা।

    এই বছর বেশ ভাল দামে, ভাল হয়েছে সব শিল্পীর পুজোর বায়না। তাই মূল্য বৃদ্ধির বাজারেও চওড়া হাসি ফুটেছে শিল্পীদের মুখে। আসন্ন আপামর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। জেলা থেকে শহর সর্বত্রই চলছে তার তোড়জোড়। মণ্ডপের কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ওদিকে চরম ব্যস্ততা পটুয়াপাড়ায়। ব্যস্ততা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে ফেলার। গত কয়েক দিনের লাগাতার নিম্নচাপের বৃষ্টি সব হিসেব এলোমেলো করে দিয়েছে। সময় চলে গেছে, কাজ এগোয়নি। এখন আবহাওয়া অনুকূল, তাই বেড়েছে কাজের গতি। তবে পুজো উদ্যোক্তাদের সময় মতো প্রতিমা হস্তান্তর করাটাই বর্তমানে মৃৎশিল্পীদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ঠাকুরের দাম তুলনামূলক ভালই। মূল্য বৃদ্ধির এই বাজারে পুজো উদ্যোক্তাদের দেওয়া রাজ্য সরকারের অনুদানে পরোক্ষভাবে উপকৃত মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পীদের মতে আগের বছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে ঠাকুরের দাম। অন্যান্য বছর পুজো কমিটি বেশি দামের ঠাকুর নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করত। কারণ তাঁদের বাজেটে পোষাত না। তবে এই বছর সরকারি অনুদানের অঙ্ক বাড়ায় উদ্যোক্তারাও ঠাকুর নিয়ে অতটা ভাবছে না। দর দামও করছে না। হুগলির চাঁতরা কুমোর পাড়ার প্রতিটি মানুষের জীবিকা ঠাকুরের প্রতিমা তৈরি করা। ওই এলাকা জুড়ে কম করে ১৫ থেকে ১৬ টি ঠাকুর তৈরির গোলা রয়েছে। আর বর্তমানে যেখানে মৃৎ শিল্পীরা এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে ব্যস্ত ঠাকুর গড়তে। এই প্রসঙ্গে শিল্পী স্বপন কুমার পাল বলেছেন, এই বছর তিনি ৫৬ টি ঠাকুরের প্রতিমা তৈরি করেছেন। সব কটি প্রতিমাই তার বায়না হয়ে গেছে। দামও পেয়েছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভাল। তিনি মনে করেন এর নেপথ্যে রাজ্য সরকারের অনুদান একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। পুজো উদ্যোক্তাদের দেওয়া রাজ্য সরকারের অনুদানে পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছেন মৃৎশিল্পীরাও। তাই দেখা গেছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর পুজো কমিটিগুলি তাদের ঠাকুরের বাজেট বাড়িয়েছে। যেখানে মাটি, খড় থেকে শুরু করে ঠাকুর তৈরির নানা সামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ঠিক সেখানে দাড়িয়ে এই বছর দুশ্চিন্তার অবকাশ নেই। কাজের মূল্য বেশ ভালই পেয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

    ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)