ওই ভিডিয়োবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীকে ইজ়রায়েলের পরিণতি থেকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ বার্তা দিয়ে
পান্নুন বলেন, ‘‘ভারত যদি পঞ্জাবে দখলদারি কায়েম রাখতে চায়,
তবে এমনই প্রতিক্রিয়া হবে।’’ ‘বৃহত্তর পঞ্জাব’
নিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র খলিস্তান রাষ্ট্র গড়ার পক্ষে সওয়াল
করে তিনি জানান, প্রয়োজনে এ বিষয়ে পঞ্জাবের আমজনতার মতামত গ্রহণ
করতে তাঁরা প্রস্তুত। পান্নুন বলেন, ‘‘ভারতকেই বেছে নিতে হবে তারা ব্যালট চায়,
না কি বুলেট।’’
খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের
ঘটনায় গত মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিতর্কিত বিবৃতির পরে পর
ভারত এবং কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। সেই আবহেই সম্প্রতি পান্নুন কানাডার
হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। একটি ভিডিয়ো-বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘ইন্দো-কানাডিয়ান
হিন্দুরা, আপনারা কানাডা এবং এ দেশের সংবিধানের প্রতি নিজেদের আনুগত্য অস্বীকার
করেছেন। আপনাদের গন্তব্য এখন ভারত। কানাডা ছেড়ে ভারতে যান।’’ এর
পর ভারতে ১৬টি গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত পান্নুনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে
এনআইএ। ভারতে নিষিদ্ধ এবং খলিস্তানপন্থী সংগঠন এসএফজে সাম্প্রতিক কালে কানাডা,
আমেরিকা এবং ব্রিটেনের কয়েকটি ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভও দেখিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকা,
কানাডা, ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশে সক্রিয় রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী
সংগঠন এসএফজে। পঞ্জাবের মধ্যে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ রাষ্ট্র
গড়ার দাবি তুলেছে তারা। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
ঘোষণা করে কেন্দ্র। জানায়, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক
অখণ্ডতার জন্য বড়সড় হুঁশিয়ারি এই সংগঠন। ২০২০ সালে সংগঠনের নেতা পান্নুনকে জঙ্গি
ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইন্টারপোলকে ‘রেড নোটিস’
জারি করার অনুরোধও জানিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আরও তথ্য চেয়ে সেই আবেদন
ফেরত পাঠায় ইন্টারপোল। তার পরেও কানাডায় বসে পান্নুনের সংগঠন ভারত বিরোধী
বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচার করে চলেছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। ভারত সরকার পান্নুনের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কানাডা সরকারকে অনুরোধও জানালেও তাতে ফল মেলেনি।