• জাত নিয়ে কটাক্ষ, গ্রাম ছাড়ার দুঃখের কাহিনি জানালেন নওয়াজ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • গোয়ায় বর্তমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের ৫৪ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানেই এদিন যোগ দেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। এই অনুষ্ঠানে এসে তাঁর করা একাধিক চরিত্র থেকে বাস্তবে জীবনে তিনি কী কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন সেসব নিয়ে মুখ খুললেন।

    আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নওয়াজউদ্দিনকে এদিন জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি কেন বারবার নেতিবাচক চরিত্র বেছে নেন? প্রসঙ্গত গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি, গ্যাংস অব ওয়াসিপুর, বদলাপুর, ইত্যাদি ছবিতে তাঁকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এই বিষয়ে অভিনেতা বলেন, আলাদা চরিত্র এক ভাবে অভিনয় করা, আর এক চরিত্র আলাদা ভাবে অভিনয় করার মধ্যে পার্থক্য আছে। তাঁর কাছে দ্বিতীয়টাই বেশি প্রাধান্য পায়। অভিনেতা এদিন বলেন, 'আমি অনুভব করেছিলাম যে ফয়জল খান বা রমন রাঘব ভীষণ আলাদা দুটো চরিত্র, তাঁদের চাহিদা আলাদা, দাবি আলাদা। ফলে দুটো চরিত্র আলাদা একেবারেই।'

    মান্টোর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন এই চরিত্রের জন্য? এই প্রসঙ্গে উঠতেই অভিনেতা বলেন, তিনি নিম্ন জাতের বলে তাঁকে নানা কথা শুনতে হয়েছে, সেটাই তিনি মান্টোর ভাবনার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

    অভিনেতার কথায়, 'আমি নিচু জাতের আর সেই জন্য আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন অনেক খোঁচা শুনেছি। একটা দীর্ঘ সময় এই বাঁকা কথাগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছি, শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে চলে আসি। এরপর মুম্বইতে যখন সেই মনোভাব, কষ্ট নিয়ে আসি আমি তখনই এই চরিত্রটা পাই। সেই হীনমন্যতায় ভুগতে থাকার বিষয়টা এই চরিত্রে সঙ্গে যেন মিশে গিয়েছিল। এই চরিত্রটার মধ্যে দিয়ে যেন অনেক কিছু বলতে চাওয়া হয়েছিল। মান্টোও ওর প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চেয়েছিল যা তাকে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। মান্টোর গোটা জীবনটাই একটা চেষ্টা ছিল। ও নিজে না পারলেও সবটা ওর ছেলেদের দিতে চেয়েছিল। কোথাও গিয়ে এটা যেন আমার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)