• ব্যোমকেশের পর দিবাকরের হাত ধরেই ফেলুদার বলিউড যাত্রা? মুখ খুললেন সত্যজিৎ পুত্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি ফেলুদা। ফেলুদা বাঙালির ইমোশন। রুপোলি পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে ছোটপর্দা, এমনকী হালে ওটিটি-তেও ফেলুদার গল্প দেখেছে বাঙালি। তবু সাধ মেটে না। টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এবার কি বলিউড পাড়ি দিচ্ছেন প্রদোষ চন্দ্র মিত্র? 

    বাঙালির অপর আইকনিক গোয়েন্দা থুড়ি সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীকে বলিউডে নিয়ে গিয়েছিলেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী’। নামভূমিকায় ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সম্প্রতি এক পডকাস্ট শো-তে হাজির হয়েছিলেন দিবাকর। তখনই পরিচালক নিজের মনের ইচ্ছার কথা জানান। প্রশ্ন ছিল, ‘কখনও ফেলুদা বানানোর ইচ্ছে হয়নি?’ অকপটে পরিচালক বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই ভেবেছিলাম। এমনকী আমি অভয় দেওলকে এই চরিত্রের জন্যও ভেবেওছিলাম। কিন্তু, তারপর আর হয়ে ওঠেনি।’

    ফেলুদা হিসাবে অভয় দেওলের কাস্টিংও নাকি করে ফেলেছিলেন দিবাকর। কিন্তু ফেলুদার স্বস্ত্ব তো রয়েছে রায় পরিবারের হাতে। অর্থাৎ যে কোনও মাধ্যমেই ফেলুদার গল্প বলতে গেলে প্রয়োজন সন্দীপ রায়ের অনুমতি। তিনি দিবারকের এই ইচ্ছের ব্যাপারে জানেন? এই ব্যাপারে সত্যজিৎ পুত্র সাফ বক্তব্য, 'না এখনও পর্যন্ত আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে যদি এমন কিছু হয় নিশ্চয়ই তখন আলোচনা করব।’ অর্থাৎ আলোচনার দ্বার খোলা রাখছেন সন্দীপ রায়। 

    সোনার কেল্লা-র হাত ধরে মালটবন্দি ফেলুদাকে রুপোলি পর্দায় নিয়ে এসেছিলেন সত্যজিৎ। সত্যজিতের ফেলুদা হিসাবে আজও সবার মনের মণিকোঠায় রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সব্যসাচী চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্য়ায় এবং হালে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে সন্দীপ রায়ের ফেলুদা হিসাবে দেখেছে দর্শক। অন্যদিকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টোটা রায়চৌধুরীকে দর্শক পেয়েছ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ফেলুদা হিসাবে। অন্যদিকে অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আড্ডা টাইমসে মর্ডান ফেলুদা হিসাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়েরও দেখা মিলেছে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)