রেসিপি দিদির, নিউ ইয়ার্স ইভে মায়ের সঙ্গে অরেঞ্জ মার্মালেড বানালেন রাহুল
২৪ ঘন্টা | ০১ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কখনও ট্রাক চালকদের সঙ্গে রাতের হাইওয়ে চিনেছেন, কখনও বাইকের গ্যারেজে খুঁটিতে দেখেছেন মেরামতির কাজ, কখনও লোহ-লাদাকে বাইক নিয়ে দৌড়তে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। নববর্ষের প্রাক্কালে একেবারে অন্যরূপে রাগা। মায়ের সঙ্গে কিচেনে তৈরি করলেন অরেঞ্জ মার্মালেড। নিউ ইয়ার্স ইভে সেই ভিডিয়ো তিনি পোস্ট করলেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে।
মাকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের কিচেন গার্ডেন থেকে অরেঞ্জ তুলে আনলেন রাহুল। তার পর সেই অরেঞ্জ থেকে জুস তৈরি করে তার ডেকচিতে ঢেলে চামচ দিয়ে নাড়তে লাগলেন রাহুল। তার সঙ্গেই চলল কথাবার্তা। রাহুল জানিয়ে দিলেন এই ওরেঞ্জ মার্মালেডের রেসিপি তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কার। মাও ওই মার্মালেড ভালোবাসে। বিজেপির লোকজন চাইলেও তাদের এই জ্যাম দেব। পাশ থেকে সোনিয়া বলে উঠলেন, ওরা ওই জ্যাম আমাদের উপরেই ছুড়ে মারবে।অরেঞ্জের ওই জুসের মধ্যে রাহুল মেশালেন দুধ ও গাজর। চলল তা চামচ দিয়ে নাড়া। টানা ২৫ মিনিট ধীরে ধীরে চলল তা ফোটানো।ছেলে হিসেবে কেমন রাহুল? সোনিয়া বললেন, প্রবল জিদ করে। আমিও অবশ্য জিদ করি। তাহলেই বুঝুন কী দাঁড়াবে পরিস্থিতি। কিন্তু ও ভীষণ কেয়ারিং। বিশেষকরে আমার উপরে। শরীর যখন ভালো থাকে না তখনও রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনেই আমার যত্ন করে।পরিবারে কে ভালো রাঁধেন? রাহুল বলেন, সেরা রাঁধুনি তো আমার মা। উনি তা শিখেছেন বাবার কাশ্মীরি আত্মীয়দের কাছ থেকে।সোনিয়া বলেন, ব্রিটেন বা অন্য কোথাও আপনি সেখানকার খাবার খেতে পারবেন না। আমি যখন এখানে এসেছিলাম তখন এখানকার খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার সময় লেগেছিল। বিশেষ করে লঙ্কা। এখন আচার ভালো লাগে। বিদেশ থেকে যখন ফিরি তখন আমি এখান এসে যেটা প্রথম খাই তা হল অড়হরের ডাল ও ভাত।এদিকে, অরেঞ্জ জুস ইতিমধ্যেই ঘন কালচে হয়ে গিয়েছে। ওভেন থেকে তা নামানো হল। রাহুল বলতে লাগলেন, ইংল্যান্ডে যখন পড়তাম তখনই রান্না শিখতে শুরু করি। কারণ কোনও উপায় ছিল না। তাই এখন অনেক কিছু জানি। প্রয়োজন পড়লে রেঁধেও ফেলি। খাবার নিয়ে প্রচুর রাজনীতি হয়। খাবার নিয়ে গান্ধীজির একটা ধারনা ছিল। শাখাহারি ছিলেন, ছাগলের দুধ খেতেন। আমারও নিজের একরকম খাদ্যাভাস আছে।এসব বলতে বলতেই ঘন সেই জুস কাচের বোতলে ঢাললেন রাহুল ও সোনিয়া। ডজনখানেক বোতলের মুখে ঢাকনা লাহিয়ে সেখানে লিখে দিলেন, উইদ লাভ, সোনিয়া অ্যান্ড রাহুল।