জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: কামদুনি মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। নতুন বছরের শুরুতেই শুনানি। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে এবার দিল্লিতে গেলেন প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালও।
১০ বছর পার। কামদুনিকাণ্ডে নিম্ন আদালতে যার ফাঁসি সাজা হয়েছিল, তাকে এবার বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাইকোর্ট! ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি দু'জনকে। রেহাই পেয়ে গিয়েছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। কবে? চলতি বছরের ৯ অক্টোবর।হাইকোর্টের রায়ে চরম হতাশ নির্যাতিতার বাবা-দাদা ও দুই বান্ধবী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। সেদিন রায় ঘোষণা হয়, সেদিন হাইকোর্টে চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করেছে রাজ্য। ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হয় এক ছাত্রী।সেই ঘটনার কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।অভিযুক্ত ছিল মোট ৯ জন। কিন্তু নিম্ম আদালতে মামলা চলাকালীনই মৃত্যু এক অভিযুক্তের। বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আরও ২ জন। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বাকি ৬ জন। ৩ জনকে মৃত্য়দণ্ড, আর ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।