• 'মথুরায় মসজিদের কী দরকার?' জ্ঞানবাপী ইস্যুতে মুসলিমদের ভাবতে বলছেন রামদেব
    আজ তক | ০১ জানুয়ারি ২০২৪
  • ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে। চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। তারমধ্যেই রামদেবের একটি বক্তব্যে জল্পনা শুরু হল। 'আজতকে'র একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে যোগগুরু বাবা রামদেব বললেন, 'অযোধ্যায় আদালতের সিদ্ধান্ত এসেছে, তবে এখন মুসলমানদের স্বেচ্ছায় কাশী বিশ্বনাথ এবং মথুরা জন্মভূমির বিরোধের অবসানের কথা ভাবা উচিত।' 

    রামদেব আরও বলেন, 'আমার কাছে রাম জাতীয় ধর্ম এবং বেদ ধর্ম। আমরা রাম নাম নিয়ে প্রতিটি কাজ শুরু করেছি। আমাদের দাদু-ঠাকুমা, বাবা-মা সবাই নিরক্ষর ছিলেন, কিন্তু তাঁরাও বলতেন যে কোনও কাজ শুধু রামের নাম নিয়েই শুরু করতে হবে।' মন্দির-মসজিদ সংক্রান্ত বিরোধের অবসানের দাবি জানিয়ে বাবা রামদেব বলেন, 'যারা নিজেদেরকে আজ হিন্দু মনে করেন না, তাদের পূর্বপুরুষরাও রাম।'

    তিনি আরও বলেন, যে রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে বেঁচে থাকতেই মারা যায়। রাম-রাম মুখস্ত করে আমাদের প্রজন্ম পার করেছে। আমরা কখনও ভাবিনি যে এই জন্মে আমরা বিশাল রাম মন্দির দেখতে পাব। বাবা রামদেবকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে রাম মন্দিরের ইস্যু রাজনৈতিক কিনা, তিনি বলেছিলেন যে রাম তাদের জন্য রাজনীতির মাধ্যম হতে পারে যারা রামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। রাম মন্দিরের জন্য লাখ লাখ মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। তারপর আমরা এই দিন দেখতে পেয়েছি।

    বাবা রামদেব আরও বলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের পর সনাতনের গৌরবময় যুগের নতুন সূচনা ও শঙ্খধ্বনি হবে। তিনি বলেন, তিনি মন্দির-মসজিদের কথা বলেন না, কিন্তু কাশী বিশ্বনাথে মসজিদের কী ব্যবহার এবং তাও জ্ঞানবাপিতে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরায় একটি মসজিদের ব্যবহার কী? ইতিমধ্যেই অযোধ্যা নিয়ে রায় দিয়েছে আদালত। এখন অন্তত কাশী বিশ্বনাথ ও জন্মভূমি মথুরাকে মুসলমানদের স্বেচ্ছায়, শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

     
  • Link to this news (আজ তক)