জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অধরাই থেকে গেল মাধুরী! ১৯৯২ সাল থেকে একই ট্র্যাডিশন বজায় রাখল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এখনও পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ জেতা হল না টিম ইন্ডিয়ার। বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৩২ রানে ভারতকে হারিয়ে দিল। পাঁচদিনের টেস্ট তিন দিনে খতম করে দুই ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে আয়োজক দেশ এগিয়ে গিয়েছে ১-০ ব্য়বধানে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট কেপ টাউনে। এই টেস্টে ফিরতে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ব্য়র্থতার পোস্টমর্টেম করলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। কিংবদন্তি সাফ জানিয়ে দিলেন যে, কোনওরকম প্র্যাকটিস ম্য়াচ না খেলে, সোজা টেস্ট খেলতে নামলে এমনই হবে! প্রস্তুতি ম্য়াচের জন্য় জোর সওয়াল করেছেন সানি। মুম্বইকর বলেন, 'এখানে ভারত কোনও ম্য়াচই খেলেনি। সোজা টেস্ট খেলছে। এভাবে হয় না। ইন্ডিয়া এ টিম পাঠানো হয়েছে। দেখতে গেলে তাদের সফর শুরুর আগে পাঠানো উচিত ছিল। এখানে আসার আগে। এখানে এসে প্র্যাকটিস ম্য়াচ খেলা দরকার ছিল। ইন্ট্রা-স্কোয়াড জোক। কখনই ভারতীয় বোলাররা ব্য়াটারদের খুব জোরে বল করবে না। বাউন্সার দেবে? তারা ব্য়াটারদের চোট লেগে যাওয়ার ভয় পাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের বিরুদ্ধে দু'টি বা তিনটি ম্য়াচ খেলা উচিত ছিল। নাহলে কাউন্টি বা রাজ্য় দলের সঙ্গে। একন সূচি এমনই হয় যেখানে সাত দিনের ব্য়বধানে শুধুই টেস্ট ম্য়াচ খেলা হয়। ভারতীয় ক্রিকেটের অভিধান থেকে ওয়ার্কলোড শব্দটি উঠিয়ে দেওয়া উচিত। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কিছুই হবে না। দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ ম্য়াচে ব্য়র্থ হলেও তারা খেলবে। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য প্র্যাকটিস ম্য়াচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়রদের বলা উচিত যে, তারা সময় নিয়ে আসুক। টেস্টের একদিন আগে আসুক। কিন্তু তরুণদের জন্য় প্র্যাকটিস ম্য়াচের ব্য়বস্থা করা উচিত।'
গাভাসকর দ্বিতীয় টেস্টে দলে জোড়া পরিবর্তন চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য 'আমার প্রথম একাদশে খুব একটা বদল আসবে না। রবীন্দ্র জাদেজা ফিট হয়ে গেলে সম্ভবত রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বসিয়ে ওকে খেলানো হবে। কারণ অশ্বিনকে সেভাবে ব্য়বহারই করা হয়নি প্রথম টেস্টে। মুকেশ কুমারকে খেলাতাম প্রসিধ কৃষ্ণার জায়গায়।' এখন দেখার ভারত সেঞ্চুরিয়নের বদলা কেপ টাউনে নিতে পারেন কিনা!