জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: 'অভিষেকের পিছিয়ে যাওয়ার কথাটা আসছে কী করে'? তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে এবার নিশানা করলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ! বললেন, 'এই অভিষেক পিছিয়ে যাবে না, এই বাক্যগঠনটা বোধহয় পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন'।
আজ, সোমবার ১ জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বছরের প্রথমদিন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাদিবসও। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, 'কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত নয়। সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সংগ্রাম আজীবন চলবে'। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই দলের দৈনন্দিন কাজ থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিষ্ঠাদিবসে অবশ্য 'সততার সঙ্গে দেশের সেবা' কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের রাজনীতিতে আমাদের সাধারণ সম্পাদক। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবে আমার ধরনা, তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সামনে রেখে লড়াই করবেন। এবং জোড়াফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবে এব্যাপারে নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক যিনি আছেন, একত্রিত লড়াই করে বাংলার বুক থেকে বিজেপি ঠেকিয়ে দেবে। এই প্রত্যাশা আমাদের আছে'।তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা, 'অভিষেকের পিছিয়ে যাওয়ার কথাটা আসছে কী করে? আমার মনে হয়, এই বাক্য়গঠনটায় কোনও একটু সমস্যা আছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলেই আছেন, তৃণমূলেই থাকবেন। এই অভিষেক পিছিয়ে যাবে না, এই বাক্যগঠনটা বোধহয় পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। অভিষেকে পিছিয়ে যাবে না, মানেটা কী? ও তো নেতা, নেতৃত্ব দিচ্ছে'।কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমি কোনওদিন কোন রাজনৈতিক দলে শুনিনি যে, সভাপতির বক্তব্যে বাক্য়গঠন নিয়ে সেই দলেরই সাধারণ সম্পাদক বা মুখপাত্র, তিনি এই ধরনের বক্তব্য রাখেন'। তাঁর মতে, ' প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উচ্চতা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে দলের অন্দরে। সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। হয় বিতর্কটাকে দূরে সরিয়ে রাখবার জন্য়, পশ্চিমবঙ্গের জ্বলন্ত সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে এই বিবৃতিগুলি দিচ্ছেন। পুরোটাই নাটক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে শিক্ষা পেয়েছেন তৃণমূল রাজত্বে, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার পর, মানুষ এগুলি উপর কার্যত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে'।