• নিশানায় সেই সুব্রত বক্সিই! নন্দীগ্রামে মমতার হারে 'খোঁচা' কুণালের...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: নিশানায় সেই সুব্রত বক্সিই! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। 

    ঘটনাটি ঠিক কী? তখন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে  নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়।নন্দীগ্রামে ভোটগণনার দিন টানটান উত্তেজনা।  কখনও এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু, কখনও মমতা। সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করে, ১২০০-র কাছাকাছি ভোটে জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে জানা যায়, তৃণমূল নেত্রী জেতেননি। ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে মমতাকে (Mamata Banerjee) পরাজিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গণনায় কারচুপির অভিযোগে এখন মামলা চলছে হাইকোর্টে।এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,  'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী ছিলেন।  যাঁরা নন্দীগ্রামে ভোটে দায়িত্বে ছিলেন, তারা একটা ক্লিয়ার জয় এনে দিতে পারলেন না! রাজ্য সংগঠন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন'।এর আগে, তৃণমূল প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবে আমার ধরনা, তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না'। সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন কুণাল। বলেন, 'এই অভিষেক পিছিয়ে যাবে না, এই বাক্যগঠনটা বোধহয় পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন'। এবারও নাম না করে সুব্রত বক্সিকেই নিশানা করলেন তিনি, মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ,  নন্দীগ্রামে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্যতম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'এতদিন তো জানতাম লোডশেডিংয়ে জয় হয়েছে।  শুভেন্দু অধিকারী ওখানে জেতেননি। শুভেন্দু অধিকারী জয়টা আসলে চুরি।  তাহলে স্বীকার করছেন শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছে'! তিনি বলেন, 'আসলে শয়নে, স্বপনে, জাগরণের শুভেন্দু। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আবার শুভেন্দুর নাম করে ২ গ্লাস জল খেয়ে শুয়ে পড়ছেন! শুভেন্দু প্রাসঙ্গিক, তাঁর জয়প্রিয়তা আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে। বারবার সেটা প্রমাণ করছেন'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)