তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আবহেই 'দলের রাশ' নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন ফিরহাদ...
২৪ ঘন্টা | ০২ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই শেষ কথা। কোথাও যাচ্ছে না দলের রাশ। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্বের জল্পনার মধ্যেই এমনই মন্তব্য ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী বলেন, "দলের রাশ আমার মনে হয় কোনও জায়গায় যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।" একইসঙ্গে সুব্রত বক্সীরও পাশে দাঁড়ান ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, গতকাল তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে। দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহের মধ্যে সুব্রত বক্সী বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের রাজনীতিতে আমাদের সাধারণ সম্পাদক। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবে আমার ধরনা, তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সামনে রেখে লড়াই করবেন। এবং জোড়াফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবে এব্যাপারে নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক যিনি আছেন, একত্রিত লড়াই করে বাংলার বুক থেকে বিজেপি ঠেকিয়ে দেবে। এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।" সুব্রত বক্সীর এই মন্তব্যকে আবার একহাত নেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,"অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলেই আছেন। তৃণমূলেই থাকবেন। এই অভিষেক পিছিয়ে যাবে না, এই বাক্যগঠনটা বোধহয় পুর্নবিবেচনা প্রয়োজন। অভিষেকের পিছিয়ে যাওয়ার কথাটা আসছে কী করে? আমার মনে হয়, এই বাক্য়গঠনটায় কোনও একটু সমস্যা আছে। অভিষেক পিছিয়ে যাবে না, মানেটা কী? ও তো নেতা, নেতৃত্ব দিচ্ছে।" ওদিকে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় না থাকলে, ছাগলের তৃতীয় সন্তান হবে বাংলা। মমতার কারণেই দেশে রাজনীতির চর্চায় রয়েছে বাংলা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "এই দেশের রাজনীতিতে সবসময়ই বাংলা যে আলোচনায় থাকে, তার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেদিন থাকবে না, সেদিন বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তানে পরিণত হবে। মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য ছটফট করবে, পাবে কিনা আমি জানি না। খুব সাবধানে থাকবেন।" একদিকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে যখন দলের অন্দরে মতানৈক্যের ছবিটা প্রকট, তখন এইসব জল্পনার মধ্যেই কালীঘাটে মমতার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টা তিনেক বৈঠকের পর বেরিয়ে যান তিনি। তাতে জল্পনা বাড়ে আরও খানিকটা।