• সকাল থেকে কটূ গন্ধ, সোনারপুরে বন্ধ ফ্ল্যাট খুলতেই হাড়হিম! উদ্ধার ৩ ঝুলন্ত দেহ
    আজ তক | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • ফ্ল্যাট থেকে আসছিল কটূ গন্ধ। টেকা দায়! পড়শিরা ডাকাডাকি করেন। তবে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। অতঃপর খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশও চেষ্টা করে দরজা খোলার। তবে গৃহস্থের সাড়া পাওয়া যায়নি। দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। ঘরে ঢুকতেই নজরে আসে, মা-বাবা ও ছেলে ঝুলন্ত অবস্থায়। প্রাথমিক অনুমান, তারা সকলেই আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাটি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার। 

    জানা গিয়েছে, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাটে থাকত বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের ছেলে। ঘরের মধ্যেই তারা থাকত। পড়শিরা বাইরে বেরোতে দেখেননি তাদের। ওই বাড়িতে থাকতেন স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫), অপর্ণা মৈত্র (৬৮) ও ছেলে সুমনরাজ মৈত্র (৪৯)। স্বপন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ছেলে কোনও কাজ করতেন না।   
     
    পড়শিরা জানাচ্ছেন, গত ২৮ ডিসেম্বর তাঁদের তিনজনকে শেষবার দেখেছিলেন। সকালে পচা গন্ধ ফ্ল্যাট থেকে আসছে দেখে ডাকাডাকি করেন। সাড়া না মেলায় পুলিশের খবর দেন। তার পর পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভেঙে মা, বাবা এবং ৩৯ বছরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তাই প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে পুরো পরিবার। ঘরের তিনটি আলাদা জায়গায় তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন তাঁরা তিনজনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ঘরের মধ্যে থেকে কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি। ওই পরিবারের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ, অশান্তি ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ও মৃতদের মোবাইল, কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। 

    পড়শিরা জানিয়েছেন, পরিবারে অশান্তি ছিল বলে দেখেননি তাঁরা। পাড়ায় সকলের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতেন না তাঁরা। নিজেদের মতোই থাকতেন। সকাল থেকেই ফ্ল্যাটের আশেপাশে একটা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। তারপরই সকলে পুলিশে খবর দেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দরজা বন্ধ করে সপরিবারে আত্মহত্যার ঘটনা এটি। কী কারণে আত্মহত্যা তা এখনও বোঝা যায়নি। কাজকর্ম ছিল না বলেই কি চরম সিদ্ধান্ত নিল পরিবার? নাকি অবসাদের কারণে? তা স্পষ্ট নয়। 
  • Link to this news (আজ তক)