• ভয়ংকর! নিজের বিয়ের জন্য কাছের বান্ধবীকেই পুড়িয়ে মারলেন তরুণী...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেরঠের এক মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন জেলা আদালতের বিচারক পবন কুমার শুক্লা। আফসানা বেগম(৩২) নামে ওই মহিলার অপরাধ শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন। ভিনজাতের প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর জন্য পাশের বাড়ির জিনাত বেগম নামে এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারেন আফসানা। তার পরিকল্পনা ছিল জিনাতের মৃতদেহ দেখিয়ে নিজেকে মৃত বলে ঘোষণা করবেন। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় জিনাতের কিশোরী মেয়ের বয়ানে। এমনটাই সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী মুকেশ কুমার মিত্তল।

    সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল। মেরঠের লিসাই গেট থানা এলাকার একটি বাড়িতে পাওয়া যায় জিনাতের মৃতদেহ। জিনাত বিবাহিত ছিল। তার স্বামী কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকতো। সেই সুযোগ জিনাত প্রায়ই আফসানার বাড়িতে যেত। এর মধ্যে প্রবীণ কুমার নামে এক তরুণের প্রেমে পড়ে আফসানা। কিন্তু তাদের বিয়েতে ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়ায়।কীভাবে প্রবীণের সঙ্গে পালানো যায় সেই চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে আফসানার মাথায়। সরকারি আইনজীবী বলেন, টিভিতে ক্রাইম থ্রিলার দেখে মাথায় বুদ্ধি খেলে যায় আফসানার। সে ঠিক করে ফেলে জিনাতকে পুড়িয়ে খুন করে সেই মৃতদেহ নিজের বলে দেখিয়ে দেবে। সেই মতোই কাজ। জিনাত একদিন আফসানার ঘরে আসে। সেই সুয়োগে আফসানা গ্যাসের পাইপ খুলে তাতে আগুন ধরিয়ে জিনাতকে পুড়িয়ে মারে। তার পর বাড়ি থেকে হাওয়া হয়ে যায় প্রেমিক প্রবীণের সঙ্গে। প্রতিবেশীদের মনে হয় আগুনে পুড়ে মরেছে আফসানা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কয়েক সপ্তাহ পর আফসানাকে দেখে ফেলে তারই এক পরিচিত। সেই খবর যায় জিনাতের স্বামীর কাছে।ওই খবর পাওয়ার পরপরই থানায় অভিযোগ জানান জিনাতের স্বামী। জিনাতের মেয়ে বলে, মা প্রায়ই আফসানা আন্টির কাছে যেত। ততেই সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিস চলে আসে আফসানার সিল করে রাখা ঘরে। সেখানে থেকে জিনাতের চটি, ব্যাগ, এমনকি আধার কার্ডও পাওয়া য়ায়। এরপরই খোঁজখবর করে গ্রেফতার করা হয় আফসানাকে। মামলা আদালতে উঠলে জিনাতের মেয়ে বলেন তার মায়ের প্রায়ই আফসানা আন্টির বাড়ি যাওয়ার কথা। সবদিক বিচার করে আফসানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন জেলা আদালতের বিচারক।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)