বাবা-মা'কে খুন করে আত্মঘাতী ছেলে, গড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ ...
আজকাল | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালে এক পরিবারের তিন সদস্যের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গড়িয়ায়। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এক বন্ধ ফ্ল্যাটের থেকে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। মৃতেরা হলেন, অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫), এবং তাঁদের ছেলে সুমন রাজ মৈত্র। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এদিন ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে দুর্গন্ধ বেরোতেই নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেন তাঁরা। পঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান ছিল, তিনজনেই আত্মহত্যা করেছেন। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলাকালীন বুধবারেই সুমনের ফেসবুক লাইভ ঘিরে জল্পনার পারদ চড়ে। ছয়দিন আগে ফেসবুক লাইভ করে অসংলগ্ন কথা বলতে দেখা গেছে সুমনকে। তখনও তাঁর পিছনে বৃদ্ধ বাবা, মাকেও দেখা গেছে। ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, "এমন একটা সিচুয়েশনে এসে পৌঁছেছি, যখন এই ডিসিশনটা আমাকে নিতেই হত। আমরা যেখানে আছি, খুব সমস্যায় রয়েছি। আগে ভয় পেতাম। এখন আতঙ্কে আছি। জানি না কতদিন এটা ধরে রাখতে পারব। হেল্প করার কেউ নেই। থাকি বৃদ্ধ বাবা, মাকে নিয়ে। কী করব বুঝতে পারছি না। একটা সিদ্ধান্ত আজ নিতেই হবে।" ফেসবুক লাইভের মাঝে কান্নায় ভেঙেও পড়তে দেখা যায় সুমনকে। কাঁদতে কাঁদতে সুমন বলে ওঠেন, "আমি কখনও কারও ক্ষতি করিনি। কিন্তু কেউ আমায় পছন্দ করে না। আমি জানি না আমার কী দোষ। এভাবে আর বেঁচে থাকতে পারছি না। গত ৯ বছরে আমি কারও সঙ্গে কোনও কথা বলিনি। আমাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে।" কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুমন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, তার কোনও ইঙ্গিত ফেসবুক লাইভে দেননি। এমনকী কোন সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তাও বলেননি। যা ঘিরে আরও বাড়ছে ধোঁয়াশা।