বকেয়া-বিবাদ: 'কোনও অফিসারের নাম পাঠানো হয়নি',কেন্দ্রের দাবি খারিজ রাজ্যের!
২৪ ঘন্টা | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
সুতপা সেন ও কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: বকেয়া-বিবাদে নয়া মোড়। 'কোনও অফিসারের নাম পাঠানো হয়নি', কেন্দ্রের দাবি এবার খারিজ করে দিল রাজ্য। সঙ্গে পাল্টা দাবি, 'আমরা প্রস্তুত। নোডাল অফিসার, টিম সবই করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র কিছুই বলছে না! সূত্রের খবর তেমনই।
ঘটনাটি ঠিক কী? ব্যবধান সপ্তাহ দুয়েকের। দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠকের পর বকেয়া ইস্যুতে এবার রাজ্যের ঘাড়েই দোষ চাপালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এদিন কলকাতায় তিনি বলেন, 'কেন্দ্রের বরাদ্দ পুরোটাই আসছে। শুধু একশোর দিনের কাজে এখানে দুর্নীতি হয়েছে। সেটা নিয়ে কথা বলব বলেই ডেকেছিলাম। ওরা সময় চেয়েছিল, কিন্তু কোনও কথা বলেননি'।কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেছেন। ২ জন নোডাল অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও ঠিক করতে পারেনি কাকে নোডাল অফিসার করা হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। একশোর দিনে যে প্রাপ্য টাকা, আমরা দিয়ে দেব'। এদিকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, 'ওনার কাছে দিল্লি থেকে কোন চিঠি আসেনি। এরপর আমি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সাথেও যোগাযোগ করি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখলাম সেখানেও কোন চিঠি আসেনি দিল্লি থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা বলেছেন তা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর সমস্ত তথ্য নিয়ে বৈঠকের জন্য় প্রস্তুত'।এর আগে, বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে দিল্লিতে গিয়ে 'হেনস্থা'র পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ, বিধায়করা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্য়োতির সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষি ভবনে ধরনায় বসেছিলেন তাঁরা। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর টেনে হিঁচড়ে বের করাই নয়, তিন বাসে চাপিয়ে অভিষেক, কল্যাণ, দোলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উৎসব সদন পুলিস লাইনে। রাতেই অবশ্য় পেয়ে গিয়েছিলেন সকলেই।