সন্দীপ প্রামাণিক: আদালতে নয়া আবদার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। এবার বাড়িতে বসে চিকিৎসা করার আবেদন। বিচারকের সামনে কার্যত আবদারের সুরে আবেদন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । এদিন আদালতে আইনজীবী, তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান। এরপরই কার্যত আবদারের সুরে পার্থ বলেন, ‘বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করতে চাই।‘ যদিও এদিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিন মঞ্জুর হয়নি। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী বলেন, "যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি। দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বাড়িতে বসে চিকিৎসা করার আবেদন জানাচ্ছি।" আদালতে আইনজীবি আরও জানান যে, "মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। কিন্তু গত ৯ মাসে রক্তপরীক্ষা হয়নি। জেলে থেকে চিকিৎসা হচ্ছে না। যেভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন। হেফাজতে রয়েছেন, তদন্ত হচ্ছে না।" আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী আরও দাবি করেন যে, "প্রথম থেকেই তাঁর মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করে আসছেন। সাহায্য করেননি বলে এরকম কোনও রিপোর্ট নেই। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করতে চাই।"যদিও এর বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। বলেন,"মিডলম্যানদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সরাসরি যোগ ছিল। আর্থিক লেনদেন হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়-ই নির্দেশ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই এই দুর্নীতির কিংপিন।" দু-পক্ষের সওয়াল জবাবের পর ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রসঙ্গত, শিক্ষা দুর্নীতির দায়ে ২০২২-এর জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের 'ঘনিষ্ঠ' বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কেও।