• মিমিক্রি করা সেই কল্যাণকে সস্ত্রীক ডিনারে আমন্ত্রণ ধনখড়ের, 'আপ্লুত' শ্রীরামপুরের সাংসদ
    আজ তক | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বরফ কি গলল? বৃহস্পতিবার তেমনই ইঙ্গিত মিলল। শ্রীরামপুরের সাংসদের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন ধনখড়। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে ধনখড়ের বাসভবনে সস্ত্রীক কল্যাণকে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার এ কথা নিজেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন কল্যাণ। গত মাসে সংসদ চত্বরে ধনখড়ের 'মিমিক্রি' করেছিলেন কল্যাণ। যা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজনীতির ময়দান। কল্যাণের আচরণে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ধনখড়। সেই পর্বের পর বৃহস্পতিবার কল্যাণকে যে ভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ধনখড়, তা ভিন্ন মাত্রা পেল। 

    কী জানিয়েছেন কল্যাণ?

    এক্স হ্যান্ডলে শ্রীরামপুরের সাংসদ লিখেছেন, 'জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ। আমি অভিভূত যে, উনি আমার স্ত্রীকে ফোন করে আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার পরিবারে শুভকামনা জানিয়েছেন। আমায় এবং স্ত্রীকে দিল্লিতে ওঁর বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।'

    ধনখড়কে নকল কল্যাণের

    সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় গতমাসে শীতকালীন অধিবেশনে উত্তপ্ত হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষ। এই নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। বিরোধী সাংসদদের অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে শতাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিরোধী সাংসদেরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নকল করে বিতর্কে জড়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। সংসদের বাইরে জমায়েত করেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। সেই সময়ই সকলের সামনে ধনখড়ের নকল করে দেখান কল্যাণ। যা দেখে হেসে ফেলেন বিরোধী সাংসদেরা। এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই ঘটনায় সরব হন খোদ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় তৃণমূলের কল্যাণের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। তিনি বলেন, 'লজ্জাজনক ঘটনা'। তিনি আরও বলেছিলেন, 'এই ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। এক জন সাংসদ নকল করছেন এবং আর এক জন সাংসদ ভিডিয়োগ্রাফি করছেন।'

    পরে এই ঘটনার নিন্দায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে ধনখড় লিখেছিলেন, 'উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমায় বলেছেন যে, উনি এই ধরনের অপমান গত ২০ বছর ধরে সহ্য করছেন এবং এখনও করছেন। বলেছেন, উপরাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক দফতরে এবং সংসদে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তা দুর্ভাগ্যজনক।'রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আরও লিখেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। কয়েক জন সাংসদের আচরণে উনি দু:খপ্রকাশ করেছেন।' প্রধানমন্ত্রীকে উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন, 'আমি ওঁকে বলেছি, মি. প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের ঘটনায় আমি আমার কর্তব্য থেকে পিছু হঠব না। কোনও অপমানই আমার কাজের ধারাকে বদলাতে পারবে না।'
  • Link to this news (আজ তক)