ঘটনাটি ঠিক কী? সংসদের তখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। গণহারের সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী সাংসদদের। নতুন সংসদ ভবনের মকরদ্বারে বিক্ষোভে অবস্থান বসেন তাঁরা। সিঁড়িতে বসেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর শরীরী ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেননি অন্যন্য দলের সাংসদরা। এমনকী, মোবাইলে বের করে ভিডিয়ো করতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক হয়। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় জানিয়েছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেলাম। সাংসদদের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বললেন, কুড়ি বছর ধরে এমন অপমানের মুখোমুখি হচ্ছেন। কিন্তু ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে, তাও আবার সংসদে! খুবই দুর্ভাগ্যজনক'। এদিকে মিমিক্রি বিতর্কে নিজের অবস্থানেই অনড় ছিলেন কল্যাণ। বলেছিলেন, 'মিমিক্রি একটা শিল্প, অপরাধ নয়। জয়রাম রমেশ একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় দাঁড়িয়ে মিমিক্রি করছেন! আমরা তো বিষয়টা গুরুত্ব দিইনি, হাল্কাভাবে নিয়েছি। উনি কীভাবে চালান, কীভাবে ভাবভঙ্গি, তা তো আমি জানি না। এখন সেটাকে... ওনার লেগেছে। আঘাত লেগেছে মানসিকভাবে'।তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমি ধনখড়জীকে শ্রদ্ধা করি। আমার পেশার লোক, আমার থেকে সিনিয়র, শ্রদ্ধা করি। রাজ্যপাল ছিলেন, অনেক জায়গায় মতের অমিল আছে। সেটা আলাদা কথা। এখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন, চেয়ারম্যান রয়েছেন। আমি সমস্ত সাংবিধানিক পদের লোককে শ্রদ্ধা করি। এখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন, চেয়ারম্যান রয়েছেন। আমি সমস্ত সাংবিধানিক পদের লোককে শ্রদ্ধা করি। আমার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না, ওনাকে কোনওরকম মানসিক আঘাত দেওয়ার'।