'কুণাল ঘোষ ননসেন্স, মমতাদির উচিত ছিল ওকে সরিয়ে দেওয়া'!
২৪ ঘন্টা | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪
ভবানন্দ সিংহ: 'কুণাল ঘোষ ননসেন্স। মমতাদির উচিত ছিল ওকে সরিয়ে দেওয়া'। ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তাঁর মতে, 'নবীনদের হাতে ক্ষমতা মানে, বাঁদরের হাতে নারকেল। নবীনরা কাজই করতে পারবে না। ওরা কাজই করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ১৫-২০ বছর থাকতে হবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। অন্য কোনও দলে এমন কোনও উপযুক্ত ব্যক্তি নেই যে পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরবে'।
দলের রাশ কার হাতে থাকবে? লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ 'দ্বন্দ্ব'। শাসকদলের নেতাদের মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার মুখ খুললেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। সওয়াল করলেন প্রবীণদের পক্ষেই।আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, 'যে সেনাপতি হয়েছে না, আমি আগেই বলেছিলাম, মমতা ব্য়ানার্জিকে যে, বাচ্চা আছে, নাবালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখুন, কিন্তু পুরো ক্ষমতা দেবেন না'। তাঁর আরও বক্তব্য়, অভিষেককেও বলব, ধৈয্য ধর। তোমার আগে দিদি আছে, ১৫ বছর, ২০ বছর, পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরার জন্য। এখন মমতাদিকে থাকতে দাও, তোমার পিসিকে থাকতে দাও। এরকম করে একজনের কথায় নাচবে না'।কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'প্রবীণদেরকে অবসরে পাঠিয়ে ভাতা দিতে যান। নিজের দলেও সেটা করতে চাইছে...প্রবীণরা রাজি হচ্ছে না। তাঁরা বিদ্রোহ করছে'। সিপিএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, 'তৃণমূলে একদল হচ্ছে, যাঁরা আগে বিজেপি করত, এখন তৃণমূলে এসেছে করছে। একটা দল আছে, যাঁরা তৃণমূল করত, বিজেপি গিয়েছে, আবার ঘুরে এসেছে। আর একদল আছে যাঁরা বিজেপি যাওয়ার জন্য় অপেক্ষা করছে'।দলের বিধায়কের মন্তব্য়ে অবশ্য আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'উনি কবে কোথায় বলেছেন? আমরা জানি না। তিনি, আমার দীর্ঘ বিধানসভা জীবনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কোনও কথা বলছেন, ক্যাবিনেটে কিছু বলছেন, আমি দেখিনি। একথা গুলি এখন বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বলছেন। পঞ্চায়েত ভোটে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, ওখানে তো তৃণমূল প্রবলভাবে জিতেছে'। সঙ্গে পরামর্শ, 'এই ধরনের কথা না বললেই ভালো করতেন'।