প্রবীর চক্রবর্তী: লোকসভা ভোটের আগে নয়া সমীকরণ? গোলপার্কে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ফ্ল্যাটে কুণাল ঘোষ। বললেন, 'শোভনদা অ্য়ক্টিভ হলে নিশ্চিতভাবে জুনিয়র হিসেবে ভালো লাগবে, খুশি হব'। জল্পনা তুঙ্গে।
একসময়ে কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। সঙ্গে একাধিক দফতরের মন্ত্রী, তৃণমূল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতিও। কিন্তু সেসব কিছু ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু নতুন দলে মানিয়ে নিতে পারেননি একেবারেই। শেষে একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ভরাডুবির পর পদ্মশিবিরের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন শোভন-বৈশাখী।সক্রিয় রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে গিয়েছেন শোভন। বেহালার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে বৈশাখীর সঙ্গে থাকেন গোলপার্কে ফ্ল্যাটে। এদিন সেই ফ্ল্যাটে বসেই কুণাল বলেন, 'বহুদিনের পরিচয়। মাঝখানে কিছু রাজনৈতিক মেরুকরণ, বাধ্যবাধকতা, কিছু তিক্ততা হয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটা এতদিনের এবং এত ঘটনার সাক্ষী আমরা নানাভাবে যে, সেই তিক্ততা কখনই আসল সম্পর্কের গভীরতায় ছাপ ফেলতে পারেনি'। তৃণমূল মুখপাত্রের আরও বক্তব্য়, 'শোভনদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির সঙ্গে বহু বছর ধরে জড়িত। অতি অল্প বয়স থেকে জড়িত। শোভন চট্টোপাধ্যায় ঠিক কবে থেকে শুরু করবেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ফেরা, এগুলি নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার আমার নেই। পুরো সিদ্ধান্তটাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। শোভনদা অ্য়ক্টিভ হলে নিশ্চিতভাবে আমরা জুনিয়র হিসেবে হিসেবে ভালো লাগবে, খুশি হব'।আর শোভন? তাঁর কথায়, কুণালদা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র। চা খেতে আসতে চেয়েছিলেন। কুণালদা যেমন নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিল, আমিও নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিলে। পুরো আলোচনাটা হল তৃণমূল কংগ্রেস, মমতাদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের অবস্থান... সত্যি বলতে এভাবে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমাদের অবস্থান কী।