১১ বছর পর জেলের বাইরে 'ব্লেড রানার'! গুলিতে ঝাঁঝরা করেছিলেন মডেল-বান্ধবীকে
২৪ ঘন্টা | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আচ্ছা মনে পড়ে অস্কার পিস্টোরিয়াসের (Oscar Pistorius) কথা? এক সময়ে স্পোর্টস দুনিয়ার হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন অস্কার ।প্যারালিম্পিক্সে জোড়া সোনার পদকজয়ী, বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। কার্বন-ফাইবার প্রস্থেটিক পা নিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড। বলেছিলেন, শারীরিক ভাবে অক্ষম অ্যাথলিটদেরও সকল মেজর স্পোর্টস ইভেন্টে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। অস্কারকে একডাকে 'ব্লেড রানার' নামেই চিনত সকলে। তবে সেই অস্কারের জীবনই রাতারাতি বদলে গিয়েছিল। মডেল-বান্ধবী রিভা স্টিনক্য়াম্পকে গুলিতে ঝাঁঝরা করেছিলেন তিনি! যে অপরাধের জন্য় তিনি খেলার দুনিয়া থেকে মিলিয়ে গিয়েছিলেন। গারদের অন্ধকারই ছিল তাঁর নিয়তি। ফের খবরে অস্কার। ১১ বছর পর জেলের বাইরে পা রাখলেন তিনি। ছাড়া পেলেন প্য়ারোলে। দক্ষিণ আফ্রিকার কারা বিভাগ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'সংশোধনমূলক পরিষেবা বিভাগ জানাচ্ছে যে, অস্কার পিস্টোরিয়াস প্যারোল কার্যকর হবে চলতি বছরের আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে। তাকে কমিউনিটি কারেকশন সিস্টেমে রাখা হয়েছিল এবং এখন তিনি বাড়িতে আছেন।' অস্কারের বয়স এখন ৩৭। খুনের অভিযোগে সাত মাস গৃহবন্দি থাকার পর প্রায় সাড়ে আট বছর জেলে সাজা ভোগ করেছেন। গতবছর নভেম্বরেই প্য়ারোল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারকা ক্রীড়াবিদ অর্ধেকের বেশি সাজা ভোগ করে ফেলেছে। এবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ২০১৩ সালের ভ্য়ালেন্টাইন'স ডে-র দিনেই অস্কার ২৯ বছরের বান্ধবীকে প্রিটোরিয়ার বাড়ির শৌচালয়ে খুন করেছিলেন। চারবার গুলি চালিয়ে ছিলেন অস্কার। যদিও অস্কার বারবার বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর বান্ধবীকে অনুপ্রবেশকারী ভেবে ভুল করেই গুলি চালিয়ে ছিলেন আত্মরক্ষার জন্য়। এই মর্মে তিনি বারবার আবেদন জানিয়ে ছিলেন। পরিকল্পিত ভাবে হত্যা না করলেও, অনিচ্ছাকৃত হত্য়ার জন্য়ই ২০১৪ সালে নিম্ন আদালত তাঁকে পাঁচ বাছরের হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয় যে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই অস্কার খুন করেছিলেন বান্ধবীকে। ১৩ বছর ৫ মাসের সাজা ঘোষণা করা হয় তাঁর। দুই পা বিহীন অস্কার কিন্তু এখনও পুরোপুরি মুক্ত নন। ২০২৯ সালের ডিসেম্বরে তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হবে। এখন থেকে অস্কারের উপর নজরদারি চালাবে কারা বিভাগের এক পর্যবেক্ষক। অস্কার তাঁর অনুমতি ছাড়া নিজের স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারবেন না। এমনকী বাড়ি বদল করলে গেলেও তাঁকে নিতে হবে অনুমতি।