সঞ্জয় রাজবংশী: ফাটল ধরেছে ক্লাসঘরে, মিড ডে মিলের রাঁধবার ঘরে নেই ছাদ, নেই পর্যাপ্ত ঘরও, শৌচালয় বেহাল। প্রতিদিন প্রায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে ক্লাস করতে হয় কালনা মহকুমার অন্তর্গত পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুরের পশ্চিম আটপাড়া এফপি স্কুলের কচিকাঁচাদের।
বেহাল এই বিদ্যালয় এবং ভগ্নপ্রায় তার ক্লাসরুমের মধ্যেই বিপজ্জনক ভাবে চলছে প্রাক-প্রাইমারি ও প্রথম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়াও সমস্যা। খোলা জায়গায় বসে মিড ডে মিলের খাবার খেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। খাওয়ার সময়ে তাদের আশে-পাশে অবলীলায় ঘুরে বেড়ায় কুকুর-ছাগল-হাঁস! তারাও ওইখানেই উচ্ছিষ্ট খেতে থাকে। দৃশ্যতই যা অস্বাস্থ্যকর। এই স্কুলে পর্যাপ্ত ঘর নেই, তাই ভগ্নপ্রায় ঘরেই ক্লাস করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের-- সাফাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। মিড ডে মিল প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য-- স্কুলে বাউন্ডারি ওয়াল ঠিকমতো নেই, কুকুর-ছাগল, হাঁস সব ঢুকে পড়ে। তা ছাড়া ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। সব মিলিয়েই সমস্যা।অন্য দিকে, স্কুল পরিদর্শক পূর্বস্থলী উত্তর চক্রের উজ্জ্বল রায়ের বক্তব্য, বেহাল স্কুলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে আগেই। সংস্কার হবে এবং খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ছাত্রছাত্রীদের খোলা জায়গায় বসে মিড ডে মিল খাওয়ার বিষয়টি তিনি অবশ্য খুব পরিষ্কার করে জানেন না বলেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেছেন।অভিভাবকদের অভিযোগ, ভগ্নপ্রায় এই স্কুলের ঘর, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে পড়ুয়াদের মাথার উপর। আর এহেন ভয়ংকর বিপদের আশঙ্কা করে তাঁদের অনেকেই স্কুলে পাঠান না ছেলেমেয়েদের। শুধু তাই নয়, তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের শৌচালয়েরও অবস্থাও খারাপ। মিড ডে মিল খাওয়ানোর ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে বহু বছর, আজও তা সারানো হয়নি। সবমিলিয়ে স্কুলের রোজকার ছবিটি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত তাঁরা।