তথাগত চক্রবর্তী: স্বামীর নেশা কাটানোর আশ্বাস দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা গুনিনের। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত গুনিন। ধৃতের নাম সোনা হালদার। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ধৃতকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত স্বামী। শুধু তাই নয় প্রতিবেশী কারোর সঙ্গে কথা বললে স্ত্রীকে সন্দেহ করত ও মারধর করত। এই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও স্বামীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় প্রতিবেশী এক মহিলা মণি প্রামানিকের সহযোগিতায় এক গুনিনের দারস্থ হন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা ঘরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গুনিন। গুনিনের হাত থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন ওই গৃহবধূ। এই ঘটনায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে সোনা হালদার নামে ওই গুনিনকে গ্রেফতার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গুনিন সোনা হালদারের আদি বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানা এলাকার মুকুন্দপুরে। বেশ কিছুদিন যাবৎ নরেন্দ্রপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থেকে গুনিনগিরি করতে শুরু করে সে। স্বামীকে মূল স্রোতে ফেরাতে ওই গুনিনের কাছে আসে ওই গৃহবধূ। তাঁর কাছে ১৫০০০ টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত গুনিন। পরে দর কষাকষিতে ৫ হাজার টাকায় রাজি হয়ে যায় ওই গুনিন। এরপর ওই মহিলাকে জানানো হয় স্বামী ও সন্তানকে বাইরে রেখে একা ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। সেইমতো স্বামী ও সন্তানকে প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে ঘরে একা থাকেন ওই গৃহবধূ।অভিযোগ, এরপরই ওই গৃহবধূকে কিছু একটা খাইয়ে বেহুঁশ করে দেয়। তারপরই ফাঁকা বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গুনিন। খানিক পর ওই গৃহবধূর জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। চিৎকার শুনে পালিয়ে যায় গুনিন। নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ করলে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।