• বাম আমলে শুরু, তৃণমূল আমলে আরও বড় হয় শাহজাহানের সাম্রাজ্য ...
    আজকাল | ০৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনে গড়ে ওঠেনি শাহজাহানের "সাম্রাজ্য"। বাম থেকে ডান, ডাকাবুকো ইমেজের জন্য সব দলের নেতাদের কাছেই দ্রুত জায়গা করে নিতে তার অসুবিধা হয়নি। অভিযোগ, রাজ্যে পালাবদলের আগে ভোট বৈতরণী পার করতে শেখ শাহজাহানেই আস্থা ছিল সন্দেশখালির সিপিএম নেতাদের। এমনকী ২০১১তে যখন গোটা রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড় ওঠে তখনও সন্দেশখালির বাতাস ছিল অদ্ভুত রকমের শান্ত। শাহজাহানের "তরোয়াল"-এর জোরেই সন্দেশখালি দূর্গ জয় করতে পারেনি তৃণমূল। তার বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ থেকে রিগিং, সবই তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। স্থানীয় নেতা মোসলেম শেখের হাত ধরে সিপিএমে যোগ দিলেও ২০১১-র পর তৃণমূলের দিকে আস্তে আস্তে ঝুঁকতে শুরু করে সন্দেশখালির এই "বেতাজ বাদশা"। ততদিনে তৈরি করা হয়ে গেছে তার নিজস্ব "লেঠেল বাহিনী"। অথচ এলাকায় শোনা গিয়েছে, ভারতে শাহজাহান ও তার পরিবার অবৈধভাবে নদীপথে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। চরম দরিদ্র শাহজাহানের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল স্থানীয় সিপিএম নেতা মোসলেমের সঙ্গে। তারপর থেকেই তার উত্থান একেবারে রকেটের গতিতে। এলাকার একটার পর একটা ভেরি তার দখলে চলে আসে। সেইসঙ্গে টাকা আসতে থাকে আরও নানা উপায়ে।কিন্তু গতিতে রাশ পড়ে ২০১১‌ সালের পর থেকেই। এলাকায় সিপিএম বিধায়ক থাকলেও রাজ্যে যেহেতু তৃণমূল সরকার তাই পুলিশের চাপ তার ওপর খুবই বাড়তে থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপদ বুঝতে পেরে এরপর শাহজাহান যোগাযোগ শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে এবং শেষপর্যন্ত ২০১৩তে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে সে। সেখানেও "পদোন্নতি" হতে বেশি দেরি হয়নি। একটা সময় শাহজাহানের বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্ব করতেন বর্তমানে সেই একই অভিযোগ করেন স্থানীয় সিপিএম এবং বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাহজাহানকে প্রার্থী করে তৃণমূল। জেতার পর তাকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও "তোলাবাজি" বন্ধ না হয়ে বরং আরও বেড়ে যায়। ভেড়ি থেকে টাকা আদায় থেকে কাঠপাচার থেকে রোজগার, সব অভিযোগই শোনা গিয়েছে শাহজাহানের নামে।‌ কিন্তু এলাকায় দান, ধ্যান করে সে গড়ে তুলেছিল একটা "রবিনহুড" মার্কা ইমেজ। যার প্রমাণ শুক্রবার পেয়েছেন তার বাড়িতে তল্লাশি করতে যাওয়া ইডি আধিকারিকরা। সংবাদ মাধ্যমে যা দেখেছেন রাজ্যবাসী।
  • Link to this news (আজকাল)