'রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে', ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে বিচারপতি..
২৪ ঘন্টা | ০৬ জানুয়ারি ২০২৪
পিয়ালী মিত্র: রেশন দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি গিয়ে হামলার মুখে ইডি আধিকারিকরা। আহতদের দেখতে এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, 'আমি বিশ্বাস করি, পশ্চিমবঙ্গ সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে বাংলাকে ছোট করেছে। আশা করব, যাঁকে খুঁজতে গিয়েছিল, সেই শেখ শাহজাহান রাত ১২ টার মধ্যে ইডি অফিসে এসে ধরা দেবে । তাঁর যাঁরা নেতা আছেন, তাঁরা সেই নির্দেশ দেবেন'।
তখন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছে। এদিন সকালে হাইকোর্টের সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বলেন, 'রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করেছেন না যে এরাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরা মার খান তাহলে তদন্ত কিভাবে হবে'? সন্ধ্যায় আহত ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'দু'জনের মাথা ভয়ংকর চোট। অনেকগুলি সেলাই পরেছে। একজন আইসিইউতে আছেন, দু'জন কেবিনে আছেন তাদের ঘিরে ধরে কিছু লোক বাইকে এসে একেবারে পরিকল্পনা করে মেরেছে'। বিচারপতির আরও বক্তব্য, 'যাদের লেলিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? অন্য কোনও জায়গার না তো? তারা নৌকা করে আসেনি তো? সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে কারা কাকে আশ্রয়'।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, 'আমি এসেছি মানবিকতার খাতিরে। আমার কোর্ট থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে সিবিআই এবং ইডি একসঙ্গে যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, সেটা তদন্ত করে'।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'রাস্তার ছোড়ারাই "রাজা তোর কাপড় কোথায়" প্রশ্ন তুলতে পারেন অভিজিৎ বাবু। সকালে শুভেন্দু অধিকারী রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করার পরেই আপনিও একই ইঙ্গিত করলেন। তারপরে বেলা গড়ানোর পর ওই শুভেন্দুর থেকে "রোহিঙ্গা" ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টার পর রাত্রিবেলায় এসে আপনিও সেই একই দিকে ইঙ্গিত করলেন। যা বুঝলাম, বিজেপির ব্রিফিং আপনার কাছে একদম সঠিক সময়ে এসে পৌঁছচ্ছে। এই সমস্ত বক্তব্য রাখার পর আপনার অন্তত আর বিচারপতির চেয়ারে থাকা সাজে না। লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন'।এদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিসের অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। বিবৃতিতে উল্লেখ, 'তল্লাশির সময়ে বাড়িতেই ছিলেন শাহাজাহান। ফোনের লোকেশন বাড়িতেই দেখায়। তল্লাশির সময়ে আটশো থেকে হাজার জন ঘিরে ধরে। ইডি ও CRPF জওয়ানদের উপর ইট-পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়। ব্যক্তিগত ও সরকারি সামগ্রী চুরি গিয়েছে। খুনের উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়'। শুধু তাই নয়, এ রাজ্যের অফিস ও অফিসারদের সার্বিক নিরাপত্তা ইডি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকে চিঠিও দিচ্ছে। সূত্রের খবর তেমনই।