জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু মহিলার...
২৪ ঘন্টা | ০৬ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার দুপুরে চালসা রেঞ্জের পানঝোরা জঙ্গলে হাতির হানায় দুই বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের হাতির হানায় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে ফের হাতির হানায় মৃত্যু এক মহিলার। মহিলার নাম লুৎফা বেগম (৩২)। বাড়ি মাল ব্লকের কুমোরপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বড়দিঘি বিটের এসএস ৩ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে ওই মহিলা জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহে যান। তখনই তিনি কোনও ভাবে হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে লাটাগুড়ির রেঞ্জ অফিসার শুভ্র শঙ্কু দত্ত-সহ মেটেলি থানার পুলিস জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে মহিলার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে মেটেলি থানা সূত্রে জানা যায়।হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ অঞ্চলের নিত্যদিনের ঘটনা। কদিন আগেই পানঝোরা জঙ্গলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল দুই বৃদ্ধের। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কতি হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃতদের নাম হরসিং মুন্ডা (৬০)ও গোপাল তামাং (৬০)। দু'জনেরই বাড়িই নাগরাকাটা ব্লকের পানঝোরা বনবস্তি এলাকায়।জানা গিয়েছিল, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হরসিং মুন্ডা ও গোপাল তামাং দুজনে পানঝোরা জঙ্গলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। দু'জনেই পানঝোরা টু বি কম্পার্টমেন্ট এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে আপনমনে গল্প করতে-করতে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই পিছন থেকে একটি হাতি তাঁদের কাছাকাছি চলে আসে। হাতির সামনে পড়ে যাওয়ায় তাঁরা কেউই পালানোর সুযোগই পাননি! পালাতে পারেননিও। হাতিটি হরসিং মুন্ডার মাথা পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোপাল তামাংকে শুঁড়ে জড়িয় ধরে তুলে আছাড় মারে। গোপাল তামাং ভয়ে চিৎকার আরম্ভ করেছিলেন। তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে মাল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাও শুরু হয়। তবে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।