দেশজুড়ে হিংসা, বিরোধীদের ভোট বয়কটের ডাক! বাংলার নির্বাচনে শান্তিরক্ষাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ
২৪ ঘন্টা | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। বোটে দেবেন ১১ কোটি ৯৬ লাখেরও বেশি ভোটদাতা। তবে দেশের সাধারণ নির্বচনকে ঘিরে যেভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে তাতে আগামীকাল দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপি অনেকটাই কোণঠাসা। আওয়ামী লিগের লক্ষ্য অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পড়ুক। তবে সরকার বিরোধীদের ভোট বয়কটের ডাকের মধ্যে কতটা ভোট পড়ে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২০১৮ সালের ভোটের বিএনপি-সহ সব বিরোধী দল অংশ নিয়েছিল। তাতে ভোট পড়েছিল ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ভোট বয়কট করেছিল তাতে ভোট পড়েছিল ৪০ শতাংশ। মোট ৩০০ আসনের মধ্যে লড়াই হতে পারে ১৩০ আসনে। এমনটাই মনে করছে আওয়ামী লিগ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লিগ ১৫৩ আসনে বিনা লড়াইয়ে জয়লাভ করেছিল। এবারও কি তারই পুনরাবৃত্তি হবে? এমনই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।এদিকে, নির্বাচনের আবহে একের পর এক ট্রেন বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকালই বেনেপোলের ট্রেনের আগুন ৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। ওই ঘটানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপির আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী-সহ ৮ জন। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই টাকা বিলি, আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করা, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।এদিকে, বিএনপি সূত্রে খবর ভোটারদের ভোট দানে বিরত থাকার ব্যাপারে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার চালাবে তারা। এর জন্য তাদের নেতাদের মাঠে নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে ঢাকায় মিছিল করেছে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট। পৃথক মিছিল করে জামায়াতে ইসলামি। মিছিলে অংশ নেয় বিএনপির শাখা সংগঠনগুলিও।বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে অংশ নিলে এই নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হতো। তারা ভোটারদের ভোট দিতে নিষেধ করছে। আমরা বলব ভোটারদের ভোট দিতে আসতে। ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করা তাদের কর্তব্য।বিএনপি নেতাদের দাবি, ২০১৮ সালে বিএনপি ভোটদাতাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি আওয়ামী লিগ। এবার তারা অন্য ফন্দি এঁটেছে। ভোটের ভিজিএফ বাতকিল সহ বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লিগ। সেইসব বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেই এবার বোট বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সেই বয়কট সফল করতে শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। ভোটের পরদিন অর্থাত্ সোমবার সকাল পর্যন্ত বিএমপির ওই কর্মচূচি চলবে।ভোটের দিন কোনও কারণ ছাড়া সাধারণ মানুষকে যেখানে সেখানে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এমনটাই আহ্বান জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত ডিজি খুরশীদ হোসেন। শনিবার তিনি বলেন, কেউ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কেউ গেলে তাকে জেরা করা হবে। জানতে চাওয়া হবে তিনি কেন এসেছেন।