ইডি-সিবিআই নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আড়ালে থেকেও হুঙ্কার ফেরার শাহজাহানের
২৪ ঘন্টা | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহাজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে ইডি। আহত হন ৩ ইডি আধিকারিক। সেই শাহজাহান এখন ফেরার। বাংলাদেশে সে যাতে চলে যেতে না পারে তার জন্য শাহজাহানের নামে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে ইডি। এবার আড়ালে থেকেই হুঙ্কার দিলেন সেই শাহজাহান শেখ। প্রকাশ্যে এল তার একটি অডিও বার্তা। সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি জি ২৪ ঘণ্টা।
ইডির দাবি তল্লাশি বা গোলমালের সময়ে বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান। তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তা জানা গিয়েছে। তাই এখন বড় প্রশ্ন শাহজাহান এখন কোথায়? তাঁর অডিও বার্তায় কী বললেন সন্দেশখালির দাপুটে ওই তৃণমূল নেতা? ওই অডিও বার্তায় শাহাজাহান বলেন, সন্দেশখালির সব শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ, অঞ্চল সভাপতি থেকে বুথ সভাপতি যারা রয়েছেন তাদের আমি বলব, এইসব সিবিআই, ইডি নিয়ে ভয় পাবার কোনও কারণ নেই। সবাই বুঝতে পারেছেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। ওরা মনে করছে আমাকে দমাতে পারলে সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস দুমড়ে যাবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার হাজার শেখ শাহজাহান আছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমার আপনার সবার জন্য করেছেন তা মনে রাখতে হবে। আমাদের মৃত্যু যে সত্য তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। সবার কাছে অনুরোধ করব, মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে কোনও ধর্ম কাজে আসে না। মৃত্যু একসময় সবার হবে। তার জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইডি, সিবিআই যেটা করছে তার একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।এখানেই থেমে থাকেননি শেখ শাহজাহান। তিনি বলেন, সবাই বুঝতে পারেছেন, এটা ষড়যন্ত্র। আমি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নই। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাহলে নিজের মাথা আমি নিজেই কেটে ফেলব। তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকদের কাছে আছে আমার আহ্বান, আপনারা অন্তত আস্থা রাখুন আমি কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত নই। কোনও অন্যায়ের পথে চলিনি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অন্যায় করব না। ওরা যে চক্রান্ত করছে তা প্রমাণ হতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আপনারা আস্থা হারাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। আমার কী হবে। আমি কোথায় যাব সেটা আপনাদের ভাবতে হবে না।ওই অডিও বার্তা নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরকম হাজার হাজার শেখ শাহজাহান থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এদেরই জনবিচ্ছিন্ন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে থাকতে গেলে তা করতে হবে রাজ্যের মানুষকেই। আবার যদি বিভাজন না চান, আবার যদি নতুন একটি বাংলাদেশ দেখতে না চান তাহলে এদের তাড়াতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের মনে রাখা উচিত ২০০৮ সালে এই শাহজাহান একযোগে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিল। তখন ছিল সিপিএম। তার প্রতিভা দেখে তাকে তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের ৪ কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে। একজনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসা করুন। এরা যদি মনে করে বাংলাদেশি জেহাদি ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভারত সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবে তাহলে তার ফল তারা বুঝতে পারবে।