• বহরমপুরে ভরদুপুরে খুন তৃণমূল কর্মী
    আজকাল | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার ভরদুপুরে বহরমপুর শহরের চালতিয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সত্যেন চৌধুরীর (৫৮)। এদিন দুপুরে চালতিয়া এলাকায় নিজের নির্মীয়মান ফ্ল্যাটে বসে কাজ করার সময় তিনজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় সত্যেন চৌধুরীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, সত্যেন চৌধুরীর বর্তমানে দলের কোনও পদে না থাকলেও বছর ২-৩ আগেও তিনি দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতেন। বহরমপুর শহরে সত্যেন চৌধুরীর রাজনৈতিক উত্থান কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর হাত ধরে। কংগ্রেসে থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। তবে পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চালতিয়া এলাকাতে নিজের বাড়ির কাছেই সম্প্রতি সত্যেনবাবু একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছিলেন। রবিবার দুপুরে তিনি "লেবার পেমেন্ট" করার জন্য সেখানেই বসে ছিলেন। সেই সময়ে হঠাৎই তিনজন যুবক একটি বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। সূত্রের খবর, সত্যেনবাবুকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। যুগর হালদার নামে সত্যেন চৌধুরীর এক ঘনিষ্ঠ বলেন, "গুলি চলার ঘটনার মিনিট পাঁচেক আগেও আমি সত্যেনবাবুর সঙ্গে ছিলাম। বর্তমানে তিনি সক্রিয় রাজনীতি না করে ব্যবসায়িক কাজেই মনোনিবেশ করেছিলেন। কী কারণে তাঁকে গুলি করে খুন করা হল আমরা বুঝতে পারছি না।"তবে তিনি জানান, "সম্প্রতি সত্যেনবাবুর সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কয়েকজনের একটি জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়।" বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান, "নাড়ুগোপাল মুখার্জি বলেন সত্যেনবাবু আমাদের অভিভাবক ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য আমরা তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম। তাঁর মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনার।" তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, "এক সময় অধীর চৌধুরীর ছায়া সঙ্গী ছিলেন সত্যেন চৌধুরী। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমি তাঁকে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলে আমার পাশে পেয়েছি। তবে বর্তমানে তিনি দলের কোনও পদে ছিলেন না।"বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাঁখারভ সরকার বিস্ফোরক দাবি করে বলেন , "এই জেলার দু"জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করার পরিকল্পনা করছিলেন। এর মধ্যস্থতা করছিলেন সত্যেনবাবু। আমার জানা নেই এই কারণে খুন কি না। আমি গোটা ঘটনাটি লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীকে জানাব। "
  • Link to this news (আজকাল)