• মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ নিয়ে কটাক্ষ মালদ্বীপের মন্ত্রীর...
    আজকাল | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের একদিন পরেই তা নিয়ে কটাক্ষ এবং আপত্তিজনক মন্তব্য করলেন মলদ্বীপের এক মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, মলদ্বীপের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে ভারত। তিনি আরও মন্তব্য় করেছেন, উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন নিয়ে মলদ্বীপের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি এবং নিজস্বী ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তা নিয়ে নানান ধরণের মন্তব্য, বিশ্লেষণ চলছে সামাজিক মাধ্যমে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মন্ত্রীকে। অন্যদিকে, মলদ্বীপের শাসক দলের নেতা এবং সাংসদ জাহিদ রামিজের অভিযোগ, অর্থ রোজগার করতে শ্রীলঙ্কার মতো একটি ছোটো দেশের নীতি অনুসরণ করছে ভারত। মলদ্বীপের মন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন সেখানকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সারা বিশ্বকে যেন তিনি বলে দেন, মন্ত্রীর এই মন্তব্য তাঁর নিজস্ব বা ব্যক্তিগত, এরসঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "মলদ্বীপ সরকারের অংশ মারিউম শিউনা একজন নেতা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা মলদ্বীপের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি সম্পর্কিত। মহম্মদ মুইজু সরকারের উচিত, এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করা এবং ভারতকে জানিয়ে দেওয়া, যে মন্ত্রীর এই মন্তব্য তাঁর নিজস্ব, এরসঙ্গে সরকারের নীতিগত কোনও সহমত নেই।" প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই একটি বিবৃতি জারি করে মলদ্বীপ সরকার জানিয়ে দেয়, যে মন্ত্রীর এই মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। এই মন্তব্য সরকাররের বিদেশনীতির প্রতিনিধিত্ব করে না। সরকারের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সরকার মনে করে যে, বাক স্বাধীনতা হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক এবং দায়িত্বপূর্ণভাবে এবং সেই বাক স্বাধীনতা যেন ঘৃণা, নীতিবাচকতা না ছড়ায়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মলদ্বীপের সঙ্গী বা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে।" আরও বলা হয়েছে, "এই ধরণের মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে দ্বিতীয়বার ভাববে না মলদ্বীপ সরকার।"প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহম্মদ মুইজু সরকারের আসার পর থেকে মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা কমেছে ভারতের। নির্বাচনের প্রচারেই তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে দেবেন। একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের ভারতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি সংশোধন করবেন তিনি। ভারতের সঙ্গে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই সোমবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর আমন্ত্রণে চীন যাচ্ছেন মুইজু। বরাবরই চীনাপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। মলদ্বীপের সঙ্গে এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই এক্স অ্যাকাউন্টে ভাইরাল হয়েছে বয়কট মলদ্বীপ ট্রেন্ড। মলদ্বীপ সফর বাতিল করেছেন বহু ভারতীয়।
  • Link to this news (আজকাল)