• পদ্মা বেয়ে নৌকাই চলবে, বিরোধীপক্ষ নিয়ে জল্পনা
    আজকাল | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • তপশ্রী গুপ্ত, ঢাকা শীতের সকাল। ছুটির আমেজে রাজধানী ঢাকা। প্রথম ঘন্টা দুয়েকে ভোটের হার ছিল কম। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের মেজাজে বুথমুখী নানা বয়সের ভোটারেরা। অনেকেই বেরনোর আগে নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, কোথাও গন্ডগোল হচ্ছে না তো! ঢাকার শহরতলী মীরপুর (ক্রিকেটের কল্যাণে মীরপুর স্টেডিয়ামের নাম জানে পৃথিবী) থেকে অভিজাত নিউ মার্কেট অঞ্চলের সিটি কলেজ ভোটকেন্দ্র (সকালে এখানেই ভোট দিয়েছেন শেখ হাসিনা), পুরনো ঢাকার উয়াড়ির হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ছাত্র আন্দোলন খ্যাত শাহবাগ পর্যন্ত, সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন মানুষ। "ঢাকা শহরকে আজ চেনাই যাচ্ছে না। রোজ যদি এমন হতো!" হাসিমুখে বললেন গাড়ির চালক। যানজটে জেরবার ৩৬৫ দিন, ভোটের দৌলতে আজ ফাঁকা রাজপথ থেকে গলি। শুধু সাইরেন বাজিয়ে যাচ্ছে র ্যাব , কোথাও বা গন্ডগোলের আগাম খবর থাকায় রাস্তা আটকে দাড়িয়ে আনসার বাহিনী।শেষ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০% -এর বেশি। আন্তর্জাতিক মানে এই সংখ্যাটা খুব একটা বেশি নয় ঠিকই, তবে একটু নজর রাখলেই বোঝা যায়, আওয়ামি লিগের পালে হাওয়া এতটাই জোরদার যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফেরা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। মধ্যরাত পেরোতে না পেরোতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ছবিটা। বিজয়ী পক্ষের নাম ঘোষণা হয়তো আর ঘন্টা দুয়েক।বিজয়ীকে নিয়ে সংশয় নেই, যাবতীয় জল্পনা বিরোধীপক্ষকে নিয়ে। এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি এখন চালান তাঁর ভাই গোলাম মহম্মদ কাদের। যদি তারা এককভাবে বলার মত আসন না পায় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে জোট বেঁধে বিরোধী বেঞ্চ শক্ত করতে পারে। এখন দেখার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতজন আওয়ামি লিগে ফেরত যান। কারণ দলের তরফে এদের বিক্ষুব্ধ ঘোষণা করা হয়নি। দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়লেও এবার "উন্মুক্ত" দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন নেত্রী। গণতন্ত্রের নতুন মডেলে স্বতন্ত্রদের সামনে দুটি পথ খোলা। এক, আওয়ামি লিগে ফেরা, দুই, সমর্থক জোগাড় করে আলাদা দল গড়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধী পক্ষের সংখ্যা বাড়ানো।
  • Link to this news (আজকাল)