'১১ ধর্ষককে সময়ের আগে মুক্তি নয়', বিলকিস বানো মামলায় 'সুপ্রিম' নির্দেশ!
২৪ ঘন্টা | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিলকিস বানো মামলায় বড় ধাক্কা গুজরাট সরকারের। ১১ জন ধর্ষককে সময়ের আগে মুক্তি নয়। রাজ্যের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যা করার ঘটনাও। গণধর্ষণ করা হয়েছিল বিলকিস বানোকে। এই ঘটনায় দোষী ১১ জনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার রাজ্য সরকার তাদের মুক্তি দেয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই, তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো নিজে।বিলকিস বানোর ১১ জন ধর্ষকের সময়ের আগেই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হওয়া সেই মামলারই আজ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্নের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায় শোনাল। বেঞ্চের আরেক বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া। গত ১২ অক্টোবর এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল নাগরত্নের বেঞ্চ। ধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। একটি মামলা করেছিলেন বিলকিস নিজে। অপর মামলা করেন সিপিআইএম নেতা সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল সহ কয়েকজন। মামলার মূল বক্তব্য ছিল, আদৌ দোষীদের চিরাচরিত রীতি মেনে মুক্তি দিয়েছে কিনা রাজ্য। কারণ যে আইনের নিরিখে গুজরাট সরকার ১১ জনকে মুক্তি দেয়, ১৯৯২ সালের সেই আইন ২০১৪-য় নতুন আইন চালু হওয়ার পর বাতিল হয়ে যায়। নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি রদ করা হয়। ২০০২-এ গুজরাট হিংসার সময় পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর ২১ বছরের বিলকিস বানো গণধর্ষিতা হয়। তখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁর তিন বছরের মেয়ে সহ সাতজনকে খুন করে দোষীরা। সুপ্রিম কোর্ট এদিন রায় ঘোষণা করে বলে, ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ বা অব্যহতির আদেশ যথাযোগ্য নয়। যে কারণেই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি বাতিল করছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, দোষীদের বীরের মতো স্বাগত জানানোও হয়েছিল। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতেও দেখা গিয়েছে দোষীদের।