ভুটানের রাজপরিবারের পৈতৃক এলাকায় ভূমি দখলের অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে ...
আজকাল | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভুটানের রাজপরিবারের পৈতৃক এলাকায় ভূমি দখল করছে চিন। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত আলোচনা চললেও বেইজিং নির্মাণকাজ বন্ধ করেনি। স্যাটেলাইট চিত্রে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।এক মাসেরও কম সময় আগের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, উত্তর-পূর্ব ভুটানে অবৈধভাবে জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে চিন। এটি বিস্ময়কর গতির ইঙ্গিত দেয়, ভুটানের বেউল খেনপাজংয়ে নদী তীবরর্তী এলাকায় শহরায়ন করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগতভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই এলাকায় ভুটানের রাজপরিবারে ভিটেও রয়েছে।মাক্সার টেকনোলজিসের তোলা এসব চিত্রে দেখা গেছে, ২০২১ সালেও উপত্যকার যেই যেই অংশ ফাঁকা ছিল, ২০২৩ সালে সেখানে গড়ে উঠেছে ইমারত।পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের উত্তরে চিনের সীমান্তে ভুটানের অবস্থান। মাত্র ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই পাহাড়ি দেশটির ক্রমে চিনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভুটানের জাকারলুং উপত্যকার বেশ কিছু উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে এসেছে।ভুটানের জমিতে মূলত গ্রাম ও সেনাছাউনি তৈরি করছে চিন। উপগ্রহচিত্রে দেখা গেছে, ভুটানের যে অংশে চিন জমি দখল করছে, সেখান থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে।সম্প্রতি যেখানে চিনের অবৈধ নির্মাণের খোঁজ পাওয়া যায়। জাকারলুং প্রদেশ সংস্কৃতিগত দিক থেকে ভুটানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এই দখলদারিত্বের ফলে ভূমি হারানোর সঙ্গে ভুটানের সংস্কৃতিও চিনা আগ্রাসনের গ্রাসে হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। চিনের এই আগ্রাসনের বিষয়ে তেমন কিছুই করার নেই ভুটানের প্রশাসনের। কারণ চিনকে ঠেকানোর মতো ক্ষমতা দেশটির নেই। তাই সংঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে চিনের সঙ্গে সীমান্তের বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছে ভুটানের কর্মকর্তারা। ১৯৯৮ সালে জাকারলুংসহ একাধিক বিতর্কিত এলাকার মর্যাদা প্রসঙ্গে চিন ও ভুটানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে। সেখানে ভুটানে হস্তক্ষেপ না করতে রাজি হয় চিন। কিন্তু ওই চুক্তিকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।