• লক্ষ্য সাগর মেলা ইকো-ফ্রেন্ডলি করে তোলা: মমতা
    আজকাল | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন। মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধনের দিন গঙ্গাসাগর পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানালেন, লক্ষ্য সাগর মেলাকে ইকো ফ্রেন্ডলি করে তোলা। এর আগেও গঙ্গাসাগর মেলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। এদিন সভাস্থল থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাগর ব্লকে ৪৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্মিত ৬টি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, তাতে উপকৃত হবে কয়েক হাজার পরিবার। নামখানা ব্লকে ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকায় নির্মিত সীমাবাঁধ ফুট ব্রিজ, পাথরপ্রতিমা ব্লকে ৭ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকায় নির্মিত গঙ্গা সেতুর উদ্বোধন করেন, যার মাধ্যমে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার মানুষ। ২০২৪-এর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য সেজে উঠেছে বিস্তীর্ণ এলাকা, এদিন তারও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রস্তুতি থাকে দীর্ঘদিন ধরে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রীদের কাজ ভাগ করে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন আগেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, মেলায় তীর্থকর মুকুব হয়েছে ৯ থেকে ১৫ পর্যন্ত, একই সঙ্গে বলেন, পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, তীর্থযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলকে ৫ লক্ষ টাকা করে ইন্সিওরেন্স কভারেজ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, পরিবার যাতে অসহায় অবস্থায় না পড়ে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরনো সময়ের কথা তুলে জানান, "আমি আগে গঙ্গাসাগরে আসতাম, দেখতাম কিছুই নেই। থাকার একটা জায়গাও ছিল না। ছোটবেলা থেকে শুনে আসতাম সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কিন্তু এখন সবাই বলে সব সাগর একবার কিন্তু গঙ্গাসাগর বারবার।" কারণ হিসেবে জানান, এখন গঙ্গাসাগরে মিলছে সব পরিষেবা, রয়েছে হেলিপ্যাড, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে লেজার শো, স্থায়ী শৌচালয়, ফুড কোর্ট, ডালা অর্কিড, কপিলমুনি প্রাঙ্গনের গেস্ট হাউস, নতুন জেটিসহ একাধিক সুযোগ সুবিধা। গঙ্গাসাগরের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল জনসমাগম সামলানো কঠিন কাজ বলে তিনি এদিনও উল্লেখ করেন। গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারের মেলায় মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। আড়াই হাজার বাস, ৬টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, অতিরিক্ত ট্রেন থাকছে পরিষেবায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জিপিএস ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং, ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স এবং অন্যান্য ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। তীর্থযাত্রী সহ আগত সকলের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে গৃহীত একাধিক উদ্যোগের কথা জানান। স্থানীয় প্রশাসনকেও দেখভালের নির্দেশ দেন, যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা, কুম্ভ মেলার থেকেও বড়। কারণ ব্যখ্যা করে মমতা বলেন, "ওখানে বাস-ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে, এখানে জল পার হয়ে আসতে হয়, সেই অর্থে বিচার করলে গঙ্গাসাগর মেলা বিশ্বের অন্যতম সেরা মেলা।" ভারত সরকারের এখনও পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলাকে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি এদিন, সঙ্গেই আর্থিক সাহায্য না পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
  • Link to this news (আজকাল)