'৬০ বছর হলেই যে কাউকে...', তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে এবার বার্তা মমতার!
২৪ ঘন্টা | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেই যে কাউকে বিদায় দিতে হবে, তা রাজ্য সরকার বিশ্বাস করে না। বরং অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়'। তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝেই এবার বার্তা দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনাটি ঠিক কী? লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ 'দ্বন্দ্ব'। গত সপ্তাহে রাজ্যের শাসকদলের মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। আপাতত সেই বিতর্ক অবশ্য থিতিয়ে গিয়েছে।এদিন প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব, অর্থ উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনিও একসময়ের রাজ্যের মুখ্য়সচিব ছিলেন। মমতা বলেন, ‘আমরা কিন্তু যাঁরা যোগ্য লোক তাঁদের ৬০ বছরে বিদায় দিই না। আমরা তাঁদের কাজকর্ম, পুরো অভিজ্ঞতা নিয়ে পুরো কাজে লাগাই'। মেলার শুরুর আগে প্রতিবছর গঙ্গসাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিলেন কপিলমুনির মন্দিরে। ব্যতিক্রম ঘটল এবারও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনেক চিঠি লিখেছি, ইউনেস্কোকেও লিখেছি। আমার মনে হয়, কুম্ভমেলার পর গঙ্গাসাগরেরও হেরিটেজ স্ট্যাটাস পাওয়া উচিত। এই মেলায় ১ কোটিরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য করি'।মুখ্য়মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'আগে বলত, সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কিন্তু এখন বলে গঙ্গাসাগর বারবার। এত উন্নয়ন হয়েছে, হেলিকপ্টার সার্ভিস করে দিয়েছে। অনেক ব্রিজ, জেট, অনেক থাকার জায়গা করেছি। বাকি রয়েছে, শুধু মুড়িগঙ্গা সেতু। অনেক টাকা লাগবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেকবার বলেছি। আজ পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি। আমরা রাজ্য সরকারের তরফে থেকে প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছি'।