SSC-র ৪ মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট CBI-এর, সবেতেই নাম পার্থর!
২৪ ঘন্টা | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসির সব মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জুড়ল সিবিআই। চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। শেষ তদন্ত। এবার চূড়ান্ত চার্জশিট সিবিআইয়ের। গ্রুপ সি মামলায় আগেই নাম ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এবার আরও তিনটি মামলাতে জুড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। এদিন নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ মোট ৭ জনের নাম রয়েছে। গ্রুপ সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক মামলারও চূড়ান্ত চার্জশিট সিবিআই পেশ করতে পারে বলে খবর সূত্রে। গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাস-ই ছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার নির্ধারিত সময়সীমা। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার চারটি মামলায় চার্জশিট সিবিআই-এর। সূত্রের খবর, নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও যে ৬ জনের নাম রয়েছে, সেগুলি নতুন নাম। এক এজেন্টেরও নাম রয়েছে এই মামলায়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে সাক্ষী ছিলেন, এমন তিন জনকেও নতুন চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে।প্রসঙ্গত গত ৩ জানুয়ারি ফের পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ জানুয়ারি করা হয়। বাড়িতে বসে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার জন্য আদালতে বিচারকের সামনে কার্যত আবদারের সুরে আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান। আবদারের সুরে পার্থ বলেন, ‘বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করতে চাই।‘ যদিও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিন মঞ্জুর হয়নি। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শিক্ষা দুর্নীতির দায়ে ২০২২-এর জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, "যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি। দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বাড়িতে বসে চিকিৎসা করার আবেদন জানাচ্ছি।" আদালতে আইনজীবি আরও অভিযোগ করেন, "মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। কিন্তু গত ৯ মাসে রক্তপরীক্ষা হয়নি। জেলে থেকে চিকিৎসা হচ্ছে না। যেভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন। হেফাজতে রয়েছেন, তদন্ত হচ্ছে না।" দাবি করেন, "প্রথম থেকেই তাঁর মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করে আসছেন। সাহায্য করেননি বলে এরকম কোনও রিপোর্ট নেই। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করতে চাই।"তার বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। বলেন," পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই এই দুর্নীতির কিংপিন। মিডলম্যানদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সরাসরি যোগ ছিল। আর্থিক লেনদেন হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়-ই নির্দেশ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন।" শিক্ষা দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেই গ্রেফতার হন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। পরবর্তী মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা, কুন্তল ঘোষ প্রমুখ।