• ২০৪১-এর মধ্যে দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ, পঞ্চমবার সরকার গড়ার আগে বললেন হাসিনা...
    আজকাল | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • তপশ্রী গুপ্ত, ঢাকাশীতের পড়ন্ত বেলায় ভাল লাগছে না এই খোলামেলা পরিবেশে বসতে? এমনই ঘরোয়া মেজাজে গণ ভবনের লনে দেশী বিদেশী সাংবাদিকদের আপ্যায়ন করলেন বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, গোল্ডা মেয়ারের সঙ্গে তুলনা করায় সবিনয়ে বললেন, "ওঁরা শ্রদ্ধেয়, আমি ওদের মত শিক্ষিত নই। আমি খুব সাধারণ।"চব্বিশ ঘন্টাও কাটেনি পঞ্চমবারের জন্য শুধু নিজের গদি নিশ্চিত করেছেন তাই নয়, আওয়ামি লিগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরছে, সেটাই জনগণের রায়। সবচেয়ে বড় কথা, বাকি পৃথিবী বাংলাদেশের ভোটে যে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের আশঙ্কায় কাটা হয়ে ছিল, তাকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে হাসিনা প্রশাসন। প্রায় নব্বুই শতাংশ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে অধুনা সমালোচক আমেরিকাকেও আপাতত চুপ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। নয়তো স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উঠে দাঁড়িয়ে কি বলতেন মার্কিন পর্যবেক্ষক, " ম্যাডাম, আই অ্যাম ইমপ্রেসড টু সি হাও পিসফুলি দ্য ইলেকশন ওয়াজ কনডাকটেড।"পচাত্তরের অভিশপ্ত দিনের কথা বলতে গিয়ে গলা ভারি হয়ে এল শেখ হাসিনার। বললেন, সেদিন আমি আর রেহানা ছাড়া পরিবারের সবাই এমনকি আমার ছোট্ট ভাইটি পর্যন্ত ঘাতকদের বলি না হলে আজ হয়ত আমার এই চেয়ারে বসার দরকার হত না। আবার তার মুখে এক অন্য আলো খেলে গেল যখন বললেন, সাধারণ মানুষকে, বিশেষ করে নবীন প্রজন্মকে ডিজিটাল দুনিয়ায় সামিল করে কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে গড়ে তুলতে চান স্মার্ট বাংলাদেশ। সেখানে দারিদ্র থাকবে না, ক্ষুধা থাকবে না, বেকারত্ব থাকবে না।খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বি এন পি এবার ভোট বয়কট করায় কার্যত বিরোধীশূন্য ছিল ময়দান। সেই প্রসঙ্গে হাসিনার স্পষ্ট জবাব, "ভোটে লড়া না লড়া যে কোনও দলের নিজস্ব ব্যাপার। আমি কি জোর করে বিরোধীপক্ষ তৈরি করব? সেটা কি গণতন্ত্র হবে?" বলতে বলতে হেসে ফেললেন আওয়ামি লিগ সভাপতি। কঠোরে কোমলে মেশানো যে প্রধানমন্ত্রীকে আরো অন্তত একটা টার্ম "স্যর" ডাকার জন্য তৈরি মন্ত্রিসভা থেকে আমলাতন্ত্র। ম্যাডাম নয়, নেত্রীকে স্যর বলাই হাসিনা প্রশাসনের দস্তুর।
  • Link to this news (আজকাল)