• ক্লেইটনের জোড়া গোল, কষ্টার্জিত জয়ে সুপার কাপে বোধন ইস্টবেঙ্গলের ...
    আজকাল | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • ইস্টবেঙ্গল - ৩ (ক্লেইটন-২, ক্রেসপো)হায়দরাবাদ - ২ (নুঙ্গা, নিম-পেনাল্টি)আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপে জয় দিয়ে শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসিকে ৩-২ গোলে হারাল লাল হলুদ। জোড়া গোল ক্লেইটন সিলভার। অন্য গোলটি সল ক্রেসপোর। তিন ম্যাচ পরে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। তবে ক্লিনশিট রাখতে ব্যর্থ। কিন্তু এই স্কোরলাইনে কি খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত? প্রত্যেক গ্রুপ থেকে একটা দল সেমিফাইনালে যাবে। ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তাই বিদেশিহীন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলেন কুয়াদ্রাত।কিন্তু ছয় বিদেশি নিয়েও সেটা সম্ভব হল না। অবশ্য একাধিক সুযোগ মিস না করলে ইস্টবেঙ্গল কোচের সেই ইচ্ছাপূরণ হত। হায়দরাবাদের তরুণ, অনভিজ্ঞ দলের থেকে ধারে-ভারে অনেক এগিয়ে ছিল লাল হলুদ। কিন্তু তার ফায়দা তুলতে পারেনি। বরং, স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন থংবয় সিংটো। দু"বার পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ। শেষপর্যন্ত কষ্টার্জিত জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের সেরা ক্লেইটন।এদিন বিদেশিহীন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সামনে একা ক্লেইটনকে রেখে ৪-৫-১ ফরমেশনে শুরু করেন কুয়াদ্রাত। প্রথমে চার বিদেশি নিয়ে দল সাজান। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটের মাথায় নামিয়ে দেন ছ"জন বিদেশিকেই। কিন্তু তাতেও একপেশে ম্যাচ হয়নি। প্রশংসা করতে হবে হায়দরাবাদের তরুণ ব্রিগেডের। ছোটে, শাইলো, নুঙ্গাদের অনবদ্য পারফরম্যান্স। তবে তাসত্ত্বেও একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিল লাল হলুদ। ম্যাচের ৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের। নন্দকুমারের শট ক্রসপিসে লাগে। নিশুর পাস থেকে হেডে বল নামিয়ে দেন ক্লেইটন। নন্দকুমারের বাঁ পায়ের সাইড ভলি কাট্টিমানির হাতে লেগে ক্রসবারে লাগে। তার দু"মিনিটের মাথায় বিপক্ষ গোলকিপারের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়েও জালে ঠেলতে পারেননি ক্লেইটন। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচের পর থেকে গোল পায়নি ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের শেষ তিন ম্যাচে ক্লিনশিট রাখলেও গোলের খরা চলছিল। এদিন সেটা কাটিয়ে বেরিয়ে আসাই চ্যালেঞ্জ ছিল। চোটের জন্য হরমনজোৎ সিং খাবরা, মন্দার রাও দেশাই ছিল না। কিন্তু তাঁদের অভাব ঢেকে দেয় নিশুকুমার, রাকিপরা।‌ ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা। রাকিপের ক্রস থেকে চলন্ত বলে বাঁ পায়ের আলতো টাচে গোলে ঠেলেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। কিন্তু বিরতির আগেই সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ। ৪৫ মিনিটে ১-১ করেন নুঙ্গা। বিরতির পর মাঠে বিদেশির সংখ্যা আরও বাড়ান কুয়াদ্রাত।‌ গুরসিমরতকে তুলে নামান ক্রেসপোকে। তার খানিক পরে সিভেরিওকে নামিয়ে ৪-৪-২ ফরমেশনে চলে যান। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আবার দলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন। ফ্রিকিক থেকে অনবদ্য গোলে ২-১ করেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। সঙ্গে সঙ্গে সমতা ফেরানোর মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু ৫৬ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচান প্রভসুখন গিল। ছোটের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান ইস্টবেঙ্গল কিপার। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত কলকাতায় প্রধান। কিন্তু বোরহার ফ্রিকিক পোস্টে লাগে। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে সিঁদুরে মেঘ দেখে লাল হলুদ সমর্থকরা। ৭৮ মিনিটে নুঙ্গাকে ফাউল করেন হিজাজি। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে ২-২ করেন নিম দর্জি। তবে তাতে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। এক মিনিটের মধ্যেই আবার এগিয়ে যায় কলকাতার প্রধান। ম্যাচের ৮০ মিনিটে বোরহার কর্নার থেকে হেডে জয়সূচক গোল করেন সল ক্রেসপো। 
  • Link to this news (আজকাল)