হোটেলের রুমে ৪ বছরের ছেলেকে খুন স্টার্ট-আপ সিইও মায়ের! হাড়হিম ঘটনা গোয়ায়...
২৪ ঘন্টা | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড! ৪ বছরের ছেলেকে খুন জন্মদাত্রী মায়ের! ৪ বছরের ছেলেকে খুন করে, দেহ নিয়ে পালাচ্ছিলেন স্টার্ট-আপ সিইও মা। তখনই ধরা পড়েন পুলিসের জালে। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ায়। অপরাধ করে বেঙ্গালুরুতে পালাচ্ছিলেন স্টার্ট-আপ সিইও, অভিযুক্ত মা সূচনা শেঠ। সেইসময় তাঁকে ধরে পুলিস।সূচনা শেঠ হোটেল থেকে চেক আউট করার পর, একজন হোটেল কর্মী, যিনি রুম পরিষ্কার করতে যান, তিনি-ই প্রথম চাদরে রক্তের দাগ লক্ষ্য করেন। তারপরই খবর দেওয়া পুলিসে। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করে। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে! হাড়হিম করা গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক একটি এআই স্টার্ট-আপ-এর সিইও অভিযুক্ত সূচনা শেঠ। ৬ জানুয়ারি উত্তর গোয়ার একটি হোটেলে ৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ, সোমবার গোয়ার সেই হোটেলের রুমেই ছেলেকে খুন করেন। তারপর একটি ব্যাগে দেহ ভরে ট্যাক্সিতে করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। ৩৯ বছরের সুচনা শেঠকে চিত্রদুর্গা থেকে গ্রেফতার করে কর্ণাটক পুলিস।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সূচনা শেঠ একটি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে তাঁর ৪ বছরের ছেলেকে খুন করে। খুন করার পর, বেঙ্গালুরুতে ফেরার জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্টকে ট্যাক্সির ব্যবস্থা করতে বলেন। এখন রুমের চাদরে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়ায়, হোটেল কর্তৃপক্ষ যখন পুলিসে খবর দেয়, তখন পুলিস এসে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে যে, সূচনা শেঠ একাই হোটেল থেকে চেক আউট করেছেন। সেখান থেকেই শুরু হয় সন্দেহ। পুলিস জানিয়েছে, ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সূচনা শেঠ প্রথমে দাবি করতে থাকেন যে, ছেলেকে তিনি দক্ষিণ গোয়ায় এক আত্মীয়ের কাছে রেখে এসেছেন। কিন্তু সেই গল্প ধোপে টেকেনি। ক্যালাঙ্গুটে থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, এরপর পুলিস ট্যাক্সিচালককে ফোন করা হয়। ট্যাক্সিচালককে কাছের থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। তারপরই সূচনা শেঠকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে কর্নাটক পুলিস চিত্রদুর্গা থেকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই ক্য়ালাঙ্গুটে থানার একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কর্ণাটকে রওনা হয়েছে। অভিযুক্ত সূচনা শেঠকে মহিলা পুলিস হেফাজতে রাখা হয়েছে। কবে কী কারণে ৪ বছরের ছেলেকে খুন করেছেন স্টার্ট-আপ সিইও মা সূচনা শেঠ? সেই কারণ এখনও জানা যায়নি। খুনের মোটিভ খুঁজছে পুলিস।