জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওইদিনেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও। অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দিরে ওই দিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি।প্রস্তুতির নানা অভিমুখ। কাজ দ্রুত শেষ করার প্রস্তুতি। যোগাযোগব্যবস্থা মসৃণ রাখার প্রস্তুতি। নিরাপত্তা নিয়ে প্রস্তুতি। উদ্বোধনের দিন নিরাপত্তা বজায় রাখতে কী কী করা হবে, তা নিয়ে তৎপর প্রশাসন। পুরো অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে। কারা ওই দিন মন্দিরের গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সঙ্গে কী কী বহন করতে পারবেন, কী কী পারবেন না, সেই সব নির্দেশিকাও তৈরি করা হয়েছে। অতিথিরা আমন্ত্রণপত্র নিয়ে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন ভিতরে, ভাবা হয়েছে এমনই। অতিথিরা তো আসবেন, কিন্তু কারা আসবেন? প্রস্তুতির ওই লিস্টে তাই রয়েছে কাদের আমন্ত্রণ করা হবে সেই তালিকা তৈরির অতি জরুরি ও কঠিন কাজটিও।
প্রথমেই যাঁদের নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে তাঁরা হলেন দেশের প্রথমসারির শিল্পপতিরা। এই তালিকাটি আক্ষরিক অর্থেই চোখ-ধাঁধানো। তালিকার একেবারে উপরে রয়েছেন 'রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি'র মুকেশ আম্বানি, 'আদিত্য বিড়লা গ্রুপে'র কুমার মঙ্গলম বিড়লা, 'টাটা সন্সে'র এন চন্দ্রশেখরন, 'আদানি গ্রুপে'র গৌতম আদানি। থাকছেন 'হিন্দুস্তান ইউনিলিভারে'র প্রাক্তন সিইও সঞ্জীব মেহতা। তিনি বলেছেন, তিনি খুবই উত্তেজিত ওই দিন অয়োধ্যায় পৌঁছনোর জন্য এবং ওই গ্র্যান্ড ইভেন্টের সাক্ষী থাকার জন্য। সঞ্জীব মেহতা বলেছেন, 'প্রত্যেক হিন্দু ও ভারতবাসীর গর্বের দিন এটি'। প্রায় সব শীর্ষ ব্যবসায়ীই অযোধ্যা ট্রাস্টের কাছ থেকে মন্দির উদ্বোধনের দিনে রামমন্দিরে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণপত্র পেয়ে আপ্লুত। ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকছেন ১০ হাজার অতিথি। তবে তার মধ্যে নিশ্চয়ই শুধু বিজনেস টাইকুনরাই থাকছেন না। থাকছেন সমাজের সর্বস্তরের সব ধরনের মানুষ-- বিশিষ্ট থেকে সাধারণ। থাকছেন বিনোদন দুনিয়া, খেলার জগৎ, রাজনীতি, ধর্ম-- প্রায় সব বর্গের প্রতিনিধিগণ।