জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর কাণ্ড। টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠান চলছে। আচমকাই হাতে বন্দুক-গ্রেনেড নিয়ে স্টুডিয়োতে ঢুকে পড়ল একদল দুষ্কৃতী। তারা টিভির অ্য়াঙ্কার-সহ অন্যন্যা কর্মীদের হাত বেঁধে মাটিতে শুইয়ে রাখল। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে। দুষ্কৃতীরা হানা দিতেই চ্যানেলে তীব্র হুড়োহুড়ি চিত্কার শুরু হয়ে যায়। এরইমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টিভি সম্প্রচারের সংযোগ।
ওই ঘটনার পরই দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। বন্দরশহর গুয়াকুইলির টিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক নামে ওই টিভি চ্যানেলে ওই ঘটনার সময় খবর পড়া হচ্ছিল। আচমকাই ঘটে যায় ওই ঘটনা। পুলিসের পক্ষ থেকে এখনও বলা হয়নি কারা ওই ঘটনার পেছনে জড়িত। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে সম্প্রতি দেশের দুটি কারাগার থেকে পালিয়েছে একদল মাদক পাচারকারী। তারাই ওই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে।চ্যানেলের প্রধান আলিনা ম্যানরিক দুষ্কৃতীরা যখন স্টুডিওয় ঢুকে পড়ে তিনি সেইসম ছিলেন কন্ট্রোল রুমে। একজন তাঁর মাথায় বন্দুক ধরে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলে। গোটা ঘটনা সম্প্রচার হয়ে যায়। তবে এভাবেই ১৫ মিনিট চলার পর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যেই একসময় দুষ্কৃতীরা বুঝতে পারে তাদের ঘিরে ফেলেছে পুলিস। তার পরেই তারা স্টুডিওর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিস অবশ্য এসে তাদের ধরে ফেলে।বর্তমানে প্রবল রাজনৈতিক ডামাডোল চলেছে ইকুয়েডরে। প্রশাসনের একাধিক প্রভাবশালী মানুষের উপরে হামালা করেছে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি অপহরণ করা হয়েছে বহু পুলিস অফিসারকে। সম্প্রতি দুটি কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজন মাদক কারবারি। পরিস্থিতি বিচার করে সোমবারই দেশে জাতীয় আপাতকালীন অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেডিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবাও। দেশের বিভিন্ন সংস্থার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী।মঙ্গলবার টিভি চ্যানেলে ওই হামলার পর একটি ডিক্রি জারি করে দেশের ২০ মাদক পাচারকারী দলকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি সেনাকে আদেশ দিয়েছেন ওইসব জঙ্গিদের যত দ্রুত সম্ভব দমন করতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় পুলিস প্রধান জানিয়েছেন হামলাকারী ১৩ জনের সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদমন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল।