• অ্যাকোরিয়ামের মাছের সঙ্গে খেলা! ছেলের ছবি পোস্ট করে সূচনা লেখেন #whatwillhappen...
    ২৪ ঘন্টা | ১০ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোয়ার হোটেলে ৪ বছরের ছেলেকে খুন করেন বেঙ্গালুরুর স্টার্ট-আপের সিইও সূচনা শেঠ। সেই ছেলেকে নিয়েই ৩ মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট করেছিলেন সূচনা। ৩ মাস আগে সূচনা ইনস্টাগ্রামে ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেন। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি অ্যাকোরিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একরত্তি ছেলে। অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের সঙ্গে খেলছে সে। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সূচনা লেখেন, "#whatwillhappen #wish #findinglosing #lifeisbeautiful #lightinwater #fish #holiday #magicofchildhood"। যে হ্যাশট্যাগ হতবাক করেছে নেটিজেনদের! ছেলের ছবি পোস্ট করে সূচনা একদিকে যেমন লিখেছেন #magicofchildhood বা শৈশবের জাদু, ঠিক তেমনই আবার লিখেছেন #whatwillhappen মানে কী ঘটবে! আর সেখানেই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন, তবে কি ছেলেকে খুন করার পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিলেন সূচনা? স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এসবের প্রেক্ষিতে ছেলেকে খুনের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে নিয়েছিলেন সূচনা? পরিকল্পনা করেই কি উত্তর গোয়ার হোটেলে ছেলেকে খুন সূচনার? উল্লেখ্য, গোয়ার হোটেলের রুমে পাওয়া গিয়েছে কাশির সিরাপের একাধিক খালি বোতল। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, কাশির সিরাপ খাইয়ে ছেলেকে প্রথমে অচেতন করে দেন সূচনা। তারপর বালিশ চাপা দিয়ে বা তারজাতীয় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ছেলেকে।পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছেলেকে খুনের পর সূচনা নিজেও হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। হোটেলের রুমের চাদরে রক্তের দাগ ছেলের নয় শেঠের। পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, মারা যাওয়ার আগে বাবার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথাও বলে ছেলে। সূচনার স্বামী ভেঙ্কট রামনও পেশায় একজন এআই ডেভেলপার। ২০১০ সালে ভেঙ্কট রামনের সঙ্গে বিয়ে হয় সূচনা শেঠের। আদতে কেরালার বাসিন্দা ভেঙ্কট রামন। ২০২২ সালে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা হয়। এখনও পর্যন্ত ডিভোর্স না হলেও, আলাদা-ই থাকছিলেন তাঁরা। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ছিলেন সূচনার স্বামী ভেঙ্কট রামন। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। তারপরই ছেলের দেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি দেন। গোয়ার হোটেলের রুমে ৪ বছরের ছেলেকে খুনের পর দেহ ব্যাগে ভরে বেঙ্গালুরুতে পালাচ্ছিলেন সূচনা শেঠ। সেইসময় চিত্রদুর্গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কর্ণাটক পুলিস। বেঙ্গালুরুর মাইন্ডফুল AI ল্যাব-এর সিইও ছিলেন সূচনা শেঠ। তাঁর লিংকডিন পেজের প্রোফাইল অনুযায়ী সূচনা শেঠ ২০২১-এ এআই এথিক্সে সেরা ১০০-য় ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি ডেটা সায়েন্স নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সূচনা কাজ করেছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টারেও। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)